সালিশ বৈঠকে আ’লীগ নেতাকে মারধর করায় দলীয় পদ হারালেন চেয়ারম্যান সালাম

আব্দুস সালাম

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সালিশ বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ হারালেন কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।

১৭ আগস্ট দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে ১৩ আগস্ট তাকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট মো. আব্দুস সালাম এক গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে জনসম্মুখে পৌর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী আলমগীর হোসেন জীবনের উপর চরাও হয়ে তাকে শারীরিকভাবে প্রহার করেন। বর্তমানে তিনি জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়, যা সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের নজরে আসায় সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ে গঠনতন্ত্রের ৪৭(১) ধারা মোতাবেক তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং কেন তাকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির সাতকার্যদিবসের মধ্যে কারণ জানতে চাওয়া হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, সালিশ বৈঠকে কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের সামনে পৌর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী আলমগীর হোসেন জীবনকে মারধর করা হয়। বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিপাত হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে চেয়ারম্যানকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।