বকশীগঞ্জে সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ প্রদর্শন!

বকশীগঞ্জে অটোরিকশায় চাঁদা নেওয়ার প্রতিবাদে ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন অটোরিকশা চালকরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে চাঁদা নেওয়ার প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন অটোরিকশা চালকরা।

বিক্ষুব্ধ চালকরা এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় প্রায় তিন শতাধিক অটোরিকশা চালক গাড়ি চালানো বন্ধ রেখে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অটোরিকশা নিয়ে অবস্থান করেন। এসময় তারা সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার তারাটিয়া বাজার পর্যন্ত এবং বকশীগঞ্জ মালিবাগ থেকে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া বাজার পর্যন্ত সড়কে প্রতিদিন প্রায় তিন শতাধিক ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চলাচল করেন।

বকশীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে মালিবাগ, সারমারা বাজার, নঈম মিয়ার বাজার হয়ে তারাটিয়া বাজার পর্যন্ত যেতে হলে একজন অটোরিকশা চালককে ছয় জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। এসব স্থানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদা আদায় করা হয়। আর চাঁদা দিতে দেরি হলে বা অপারগতা প্রকাশ করলে চালকদের দুর্ব্যবহার ও অটোকিশাতে ভাঙচুর করা হয়।

বকশীগঞ্জে বিভিন্ন সংগঠনের নামে অটোরিকশায় চাঁদাবাজি করা হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

তারই প্রতিবাদে প্রায় তিন শতাধিক অটোরিকশা চালক দুপুর ১ টায় নঈম মিয়ার বাজার ঈদ গা মাঠে ঘন্টাব্যাপী ধর্মঘট করেন। পরে বিকাল ৩ টায় তারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়ে ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এসময় তারা চাঁদাবাজি বন্ধ ও চালকদের হয়রানি বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অটোরিকশা চালক লাভলু মিয়া , দুলাল মিয়া, সুরুজ মিয়া জানান, আমরা সকলেই নিম্নআয়ের মানুষ। আমরা এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

বকশীগঞ্জ ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা জানান, ঊর্ধ্বতন স্যার আমার উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম পরির্দশনে আসায় বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের সাথে আমার দেখা হয়নি।