জামালপুরে এপির উদ্যোগে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহে আলোচনা সভা

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের আলোচনা সভায় অংশগ্রহহণকারী মা ও অন্যান্য প্রতিনিধিগণ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ‘মাতৃদুগ্ধ পান এগিয়ে নিতে, শিক্ষা সহযোগিতা হবে বাড়াতে’ এই শ্লোগান তুলে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসেবে উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন।

সিএইচসিপি কোহিনুর বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য সহকারী কামরুল হাসান, সিএফ মুন্নি খাতুন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের এপির সিডিও আফরোজা বেগম। সভায় গর্ভবতী, প্রসুতি এবং দুগ্ধদানকারী ২০জন মা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগাম (এপি) সাতদিন ব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।

শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে এপি বাস্তবায়ন করছে।

সূত্র জানায়, এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নং ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।