জামালপুরে নবজাতকের বিপদচিহ্ন বিষয়ক সভা

জামালপুরে নবজাতকের বিপদচিহ্ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: নবজাতকের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাসে করণীয়, বিপদচিহ্ন চিহ্নিতকরণ এবং সেবাগ্রহণের মাধ্যমে শিশু মৃত্যু হ্রাসকরণের লক্ষ্যে ১৬ জুন জামালপুরে এক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ সাফি।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. নজরুল ইসলাম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যোর মাঝে বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার বদরুল আলম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম, জামালপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর সাইদা আক্তার, হযরত শাহজামাল (রহ.) উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছাদুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন এর আওতায় জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত ও প্লে ডক্টর নামে প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভা সূত্রে, নবজাতকের ৬টি বিপদচিহ্ন সম্পর্কে জানা যায়, মায়ের দুধ টেনে খেতে না পারা বা না চোষা, নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, জ¦র বা শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি হওয়া, শান্ত অবস্থায় দ্রæত শ্বাস, নাভী পাকা বা লালবর্ণ ধারণ, পেট ফুলে যাওয়া বা অনবরত বমি হওয়া, চোথ ফুলে লাল হয়ে পুঁজ পড়া।

নবজাতকের কোন একটি বিপদচিহ্ন দেখা দিলে সাথে সাথে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। নবজাতকের ওজন ২ হাজার গ্রামের কম হলে সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। কোন প্রকার কবিরাজ, গ্রাম ডাক্তার বা ঝাড়, ফোকের আশ্রয় নিলে শিশুর মৃত্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে এবং মৃত্যুও হতে পারে।