বকশীগঞ্জে চার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা

বকশীগঞ্জে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালান টাস্কফোর্সের সদস্যরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত নির্দেশনার পর জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় অনিবন্ধিত হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা কার্যকরে ২৮ মে দুপুর থেকে মাঠে নামেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক, র‌্যাব-১৪ এর জামালপুর কোম্পানী কমান্ডার আশিক উজ জামান এর নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স এর সদস্যরা।

টাস্কফোর্সের ওই অভিযানে নিবন্ধন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পৌর শহরের ডা. এফ রহমান হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফরিদ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আল মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এর পাশাপাশি ডা. এফ রহমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ফরিদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও আল মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা, হাবিব মেডিকেল হলকে ৬ হাজার টাকা ও সারমারা আশ্রাব উদ্দিন হাসপাতালকে ৬ হাজার জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে ওই অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুদের দায়ে ফাহিম মেডিকেল হলের মালিক ফরিদ সরকারকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা।

বিকালে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৪ বস্তা জব্দকৃত ওষুধ জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।