শেরপুরে কবিরাজের বাড়ি যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার যুবতী : গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান মন্টু। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: গাজীপুর থেকে শেরপুরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ছোট বোন। এ ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ১৭ মে দুই ধর্ষকের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে।

অপরদিকে ধর্ষণের শিকার ওই যুবতীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত ১৬ মে রাতে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, গত ১৪ মে গাজীপুর থেকে ১৮ বছর বয়সী যুবতী ছোট বোন শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক মহল্লায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ১৬ মে বিকেলে বড় বোনকে সাথে নিয়ে ছোট বোন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে চর্ম রোগের চিকিৎসার জন্য জনৈক হাবিবুল্লাহ সাধু নামে এক কবিরাজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।

কবিরাজের বাড়ির কাছাকাছি একটি লেবু বাগানের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় রাত হয়ে আসলে পার্শ্ববর্তী লছমনপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে মাছ বিক্রেতা হাফিজুর রহমান মন্টু এবং হাতি আগলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়া তাদের গতি রোধ করে। এ সময় তারা বড় বোনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে জোরপূর্বক ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় বড় বোন ডাক চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে জড়ো করে। এসময় স্থানীয়রা লেবু বাগানের আশপাশে ছোট বোন ও অপহারণকারীকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায় ওই লেবু বাগানের এক কোণে ঝোপের কাছ থেকে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে।

ধর্ষণের শিকার যুবতী জানায়, ওই দু’জন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে ওই রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাফিজুর রহমান মন্টু নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।

এ সম্পর্কে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সাথে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আরেক ধর্ষককে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান আছে।