জামালপুরে এনএসভিসির উদ্যোগে নারী, পুরুষ উদ্যোক্তাদের শিখন বিনিময় সভা

বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: উৎপাদন প্রক্রিয়া, বাজারজাতকরণ এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে যোগসূত্র স্থাপনসহ নিজেদের অর্জিত অভিজ্ঞতা বর্ণনা সহকারে ১৭ মে জামালপুরে উপজেলা পর্যায়ে সফল নারী, পুরুষ উদ্যোক্তাদের শিখন বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান।

উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের এনএসভিসি প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী রেজাউল করিম। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন এনএসভিসি প্রকল্পের জেন্ডার বিষয়ক কর্মকর্তা সাদেকা বেগম।

সভায় সদর উপজেলার বিভিন্ন কর্মএলাকার ২৫ জন সফল উদ্যোক্তা অংশ নেন। তারা তাদের কর্মতৎপরতা বর্ণনার পাশাপাশি উৎপাদন পক্রিয়ায় নানা চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো উল্লেখ করেন এবং আগামীদিনে বাধা উত্তরণে সমাধানের উপায় জানতে চান। এসসময় উপস্থিত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মীরাসহ অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা পর্যালোচনা করে উপায় বের করেন। বিশেষ করে ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি, বাজারে প্রবেশাধীকার এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ব হ্রাসে পদক্ষেপের কথা জানান।

উল্লেখ অষ্ট্রেলিয়া সরকারের অষ্ট্রেলিয়া এনজিও কর্পোরেশনের আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নিউট্রিশন সেনসেটিভ ভ্যালু চেইনস্ ফর স্মলহোল্ডার ফারমারস্ (এসএসভিসি) প্রকল্পটি উন্নয়ন সংঘের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জামালপুর জেলার ৩টি উপজেলায় (জামালপুর সদর, ইসলামপুর এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা) বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি ২০ হাজার জন ক্ষুদ্র কৃষক ও তাদের পরিবার নিয়ে কাজ করছে যার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ জন নারী ও ৬ হাজার ৫০০ জন পুরুষ। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, প্রকল্পের সুবিধাভোগী পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন।

এনএসভিসি প্রকল্প ক্ষুদ্র কৃষকদের সরকারি সেবাদানকারি বিভাগের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সহযোগিতা করছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছে। আবার মানসম্পন্ন কৃষি উপকরণ সুলভ মূল্যে প্রাপ্তির জন্য বেসরকারি কৃষি উপকরণ উৎপাদনকারী/সরবরাহকারীদের সাথে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপন করতে সহযোগিতা করেছে। ফলে কৃষকদের কৃষি উৎপাদন পূর্বের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, পরিবারের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিবারে পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।

সেইসাথে প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের পুষ্টি ও লিঙ্গ সমতার সম্পর্ক বিষয়ে সচেতন করা চচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, নারীদের ক্ষমতায়ন ঘটছে। প্রকল্পে বেশ কিছু নারী কৃষি উদ্যেক্তা তৈরি করেছে যারা দক্ষতার সাথে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে।