ঈশ্বরগঞ্জ থানায় যোগদান করলেন ওসি মোস্তাছিনুর রহমান

::বিল্লাল হোসেন মন্ডল::
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে ১১ মে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন পি,এস,এম, মোস্তাছিনুর রহমান পিপিএম সেবা। ১১ মে সকালে ঈশ্বরগঞ্জ থানা চত্বরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা।

বর্ণাঢ্য চাকুরি জীবনে বাংলাদেশ পুলিশের সাহসী, দক্ষ, বিচক্ষণ পুলিশ কর্মকর্তা নেত্রকোনা জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা গর্বিত বাবার গর্বিত সন্তান, মোস্তাছিনুর রহমান ওসি হিসেবে শেরপুরের শ্রীবরদী থানা, জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানা ও দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় দীর্ঘ সময় সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

শ্রীবরদীতে ওসি হিসেবে দীর্ঘ ৩ বছর দায়িত্ব পালনকালে সীমান্তবর্তী উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ দমন সভায় ২০ বারের অধিক জেলার সেরা ওসি হিসেবে মনোনীত হয়। মাদক, সন্ত্রাস, জুয়া, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিংসহ অপরাধ নির্মূলে তার নেতৃত্বে শ্রীবরদী থানা পুলিশ সফলতা অর্জন করেন।

তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিছুর রহমানের নির্দেশে ওসি মোস্তাছিনুর রহমান শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে। জনপ্রিয় ওসি হিসেবে শ্রীবরদী উপজেলায় বাসীর মনে স্থান করে নেন তিনি।

একসময়ের মাদকের চিহ্নিত স্পট হিসেবে পরিচিত বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক স্পটগুলোতে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মাদক স্পট। আটক করা হয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের, উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ মাদক। দায়ের করা হয় মাদক ব্যবসায়ীদের নামে মামলা। পুলিশের ভয়ে লেজ গুটিয়ে নেয় মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদক ব্যবসায়ীদের আতঙ্কে পরিণত হন ওসি মোস্তাছিন।

জামালপুর জেলার একমাত্র সরকারি বিনোদন কেন্দ্র লাউচাপড়া পিকনিক স্পটকে ঘিরে সেখানে গড়ে ওঠে মিনি পতিতালয়, মাদকের রমরমা আসর। দর্শনাথীরা ভয়ে সেখানে বেড়াতে যেতে ভয় পেতো। কিন্তু তিনি ওসি হিসেবে যোগদানের পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় মিনি পতিতালয় ও মাদকের আসরগুলো। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ভাসমান পতিতাদের ডেরা ঘর। জুয়া নির্মলেও নতুন চমক সৃষ্টি করেন বকশীগঞ্জে তিনি।

মানবিক ওসি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন বকশীগঞ্জ উপজেলাবাসীর মনে। দেওয়ানগঞ্জের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে তিনি সকল বাধা বিপত্তি বেড়াজাল ভেঙে কাজ করে গেছেন।