স্বপ্নের সাপধরী গড়তে আবারো আ.লীগের দলীয় ফরম সংগ্রহ করলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করেছেন কমিশন। আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তারি ধারাবাহিকতায় উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের একাধিক প্রার্থী দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন। সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম নিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বি.এসসি।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) জামালপুর দলীয় অফিস থেকে নৌকা মার্কার ফরম সংগ্রহ করেন তিনি ও সমর্থকরা।

এ সময় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, সাপধরী ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে, সস্ত্রাস ও মাদকমুক্ত, ডিজিটাল ইউনিয়ন পরিষদ গড়ে তোলার জন্য এবারও নৌকার প্রার্থী হয়েছি। বিগত ৫ বছরে মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় সাপধরী ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট হাটবাজার এর উন্নয়ন এবং নিরপেক্ষ বিচার শালিস করেছি। আমার এই দীর্ঘ ৫ বছরের নেতৃত্বে ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধীভাতাসহ অন্যান্য সকল প্রকারের ত্রাণ বঞ্চিত মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছি ও আমার ইউনিয়ন সিংহভাগ বিদ্যুতায়ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

আমার ইউনিয়নের গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নতুন রাস্তা নির্মাণ, ব্রিজ কালভার্ট, আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ, মসজিদ, মাদরাসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল ও হাট-বাজারের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।

করোনা মহামারী দুর্যোগ মোকাবেলায় আমি আমার নিজ ইউনিয়নের প্রতিটা মানুষের পাশে থেকে খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি, করোনাকালীন এই সময়ে সরকারি সহায়তা প্রদানসহ আমি ব্যক্তিগত অর্থায়নে, মাস্ক বিতরণ, হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ড স্যানেটারি এবং সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ নিজস্ব অর্থায়নে কর্মহীন মানুষের মাঝে টাকা ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছি।

দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে গেলেও এলাকার উন্নয়ন চোখে পরার মত, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাশ্ববর্তী এলাকার সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য কিছু ব্রিজ এর কাজ শেষ ও কিছু চলমান রয়েছে। সরকার কর্তৃক সকল প্রেরিত সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলস পরিশ্রমে কোন ঘাটতি রাখিনি।

আমি জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার বাবা ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, তার ধারাবাহিকতায় আমি ছাত্র রাজনীতি যুব রাজনীতি করে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে করেছি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ ও নিবেদিত কর্মী হিসবে কাজ করে যাচ্ছি। ২০১৭ সালে নৌকা মার্কা পেয়ে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্ব সেবা, উন্নয়ন, সুশাসন ইউনিয়নবাসীকে উপহার দিয়েছি।

আমি এই পাঁচ বছরে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছি তার বিচার বিবেচনা করবে আমার ইউনিয়নবাসী। আমি শতভাগ আশাবাদী। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বিশ্ব-মানবতার মা, দেশরত্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও আমাকে দ্বিতীয় বারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিয়ে সাপধরীবাসীর সেবা করার সুযোগ দিবেন।

সমর্থকরা বলেন, ইউনিয়নবাসীর মনিকোঠায় শক্ত স্থান করেছেন তিনি। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান জনবান্ধব ও বিচক্ষণ এই চেয়ারম্যান। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের সেবক হিসেবে পাশে থেকে কাজ করতে চান। প্রতি নিয়তই তিনি ইউনিয়নবাসীর সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। সাপধরী ইউনিয়নের চলমান উন্নয়ন অব্যহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো জয়নাল আবেদীন বিএসসিকেই মনোনয়ন দেবেন।