মেলান্দহে দাঙ্গাবাজদের আক্রমণে শাহআলাম আহতাবস্থায় হাসপাতালে, আসামিরা ঘুরছে

হামলার শিকার হয়ে শাহাআলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার এ চিরন্তন বাক্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মেলান্দহের হরিনাপাই গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় দিনমজুর শাহাআলম জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে শুয়ে পঙ্গতুবরণের অজানা আশঙ্কায় কাঁদছে। অপরদিকে আসামিরা প্রকশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন। চার অসামির তিনজন আদালত থেকে জামিন নিয়ে নানাভাবে হুমকী প্রদান করছে বলে বাদীর স্বজনরা জানায়।

মামলা সূত্রে ও বাদী মোছা. মহেলা খাতুন এ প্রতিনিধির কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন গত ২৯ মার্চ মেলান্দহ উপজেলার হরিনাপাই গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওইদিন বিকালে এলাকার চিহ্নিত একদল দাঙ্গাবাজ ও ভূমিদস্যু বাড়ি ঘরে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামালা চালায়। হামলায় বাধা দিলে আসামিরা মহেলা খাতুন ও তার স্বামী শাহাআলমের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। তাদের আর্ত চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে বাদী ও তার স্বামীকে প্রাণে রক্ষা করে। হামলাকারীরা চলে যাবার পর লোকজনের সহায়তায় গুরুতর আহত আবস্থায় বাদী মহেলা খাতুন ও তার স্বামী শাহাআলমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মহেলা বেগম বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল মেলান্দহ থানায় ১৪২/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন মো. রমিজ উদ্দিন সুজন, আব্দুর রহিম টুনি, মোছা. রওশনারা বেগম, মোছা. বিলকিস বেগমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন। এরমধ্যে তিনজন আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। একজন পলাতক আছে বলে পুলিশ জানায়।

মামলার সত্যতা স্বীকার করে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএম ময়নুল ইসলাম বলেন আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জামালপুর জেনারেল হাসাপাতালের চিকিৎসাধীন শাহাআলম ও তার স্ত্রী মহেলা বেগম এ প্রতিনিধিকে বলেন অবৈধভাবে বলপ্রয়োগ করে আমাদের জমি বেদখল নিতে বার বার চেষ্টা করছে। ঘটনার দিন একই উদ্দেশ্য বাড়িঘরে হামলা ও জমি জবরদখল করতে এসে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তারা প্রভাবশালী বলে পাড় পেয়ে গেলে আমাদের মতো অসহায় মানুষ সারাজীবন শুধু মার খেয়েই যাবে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।