স্বনামধন্য সাংবাদিক বজলুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদকজ, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বনামধন্য সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের আজকের এই দিনে রাজধানীর একটি কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিকালে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করার আয়োজন হয়েছে।

সেখানে উপস্থিত থাকবেন তার সহধর্মিনী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য, কৃষিমন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি।

এছাড়া জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

সাংবাদিক বজলুর রহমানের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামে। তিনি ১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরের চরনিয়ামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা আব্দুর রহমান ফরাজী, মাতা রইসুন নেসা। সাত ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন।

কর্মজীবনে এই গুণী দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক’র সহকারী সম্পাদক, কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র সাপ্তাহিক একতার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংস্থা বাংলাদেশ শাখার সভাপতি ও প্রেস কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ আফ্রো-এশিয়া গণসংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সোভিয়েত মৈত্রী সমিতি’র সহসভাপতি এবং ১৯৮০ সালে গঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

জানা যায়, ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর ৫৮ সালের শিক্ষা আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন বজলুর রহমান। পরবর্তীতে ৬২’র সংবিধান, ৬৬’র ৬দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুথান, ৭০’র সাধারণ নির্বাচন এবং ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ এমন প্রতিটি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

একজন সংস্কৃতিকর্মী ও শিশুসংগঠক হিসাবেও অবদান রেখে গেছেন বজলুর রহমান। তিনি শিশু সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর সভাপতি ছিলেন। দৈনিক সংবাদ-এর ‘খেলাঘর’ পাতার সম্পাদনা করেন। যাতে লক্ষ করা যায় তার শিশুমনের প্রতি তার গভীর আগ্রহ। তারই অনুপ্রেরণায় দেশের ৩০টি জেলায় খেলাঘর নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষা জীবনে বজলুর রহমান জেলার নকলার গণপর্দী স্কুল থেকে ১৯৫৬ সালে ম্যাট্রিক, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৫৮ আইএ, বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সালে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।