বকশীগঞ্জে বিলে মাছ ধরতে নিষেধ করায় জেলেদের জাল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ!

মাছ ধরতে নিষেধ করায় জেলেদের জাল, টিনের চালা পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জে সরকারি ইজারাভুক্ত বিলে মাছ ধরতে নিষেধ করায় জেলেদের মাছ ধরার সরঞ্জাম ও একটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নব নির্বাচিত এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এনিয়ে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।

৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের তালুকপাড়া সংলগ্ন কুকড়া বিলে এই ঘটনা ঘটে।

নিলাখিয়া পশ্চিম ব্যাপারী পাড়া মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্য কমল মিয়া জানান, আমরা ১১ জন জেলে ৩ বছরের জন্য কুকড়া বিলটি ইজারা নিয়েছি। এই বিলে আমরা মাছ চাষ করে আসছি।

নিলাখিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য মাসুম মিয়া (বাবলু) ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে এই বিলে মাছ ধরতে আসেন। কিন্তু এই বিল ইজারা নেওয়া জেলেরা তাকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দিয়ে যান।

ওই দিন রাত ৮টার দিকে বিল পাহাড়াদার বাবর আলী নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে তার পাহাড়া দেওয়ার টিনের চালা ঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তরা মাছ ধরার ৫০০ মিটার জাল, লেপ, তোষক, কম্বল, মাছের খাছিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পুড়িয়ে দেয়। এঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার জন্য জেলেরা ইউপি সদস্য মাসুম মিয়া (বাবলু) কে দায়ী করেন।

তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বাবলু জানান, তার সাথে জেলেদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। ঘর ও জাল পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

রাত ১০টার দিকে জেলেদের পক্ষে নিলাখিয়া পশ্চিম বেপারী পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ফকির মাহমুদ বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এক উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।