বকশীগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে এসপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা করেন পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ।

১৭ জানুয়ারি দুপুর ১টায় মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে এসময় বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর, বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ আলী, শিক্ষক রাজিউল হাসান লাভলু, মজনু মাষ্টার প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় এসপি নাছির উদ্দিন আহমেদ জানান, নির্বাচনের দিন যারা পুলিশের গাড়ি পুড়িয়েছে তাদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে নিরীহ কোন ব্যক্তিকে পুলিশ অযথা হয়রানি করবে না। সেদিন দুষ্কৃতিকারীদের ভাল মানুষরা যদি সহিংসতা করতে বাধা দিতেন তাহলে এ পরিস্থিতি হতো না। নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যদি এখনো ঘরের বাইরে থাকেন তাহলে আপনাদের অনুরোধ করছি আপনারা ঘরে ফিরে আসুন।

মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা করেন পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন। যারা অপরাধ করেছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হবে। আমি আশ্বস্ত করে বলছি যারা এঘটনার সাথে জড়িত নয় তাদেরকে হয়রানি করা হবে না।

পাশাপাশি যদি কোন ব্যক্তি আপনাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতে চায় তাহলে আমাকে জানান পুলিশ ওই দুষ্টু চক্রকে আইনের আওতায় আনবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে একটি পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশের পিকআপ ভ্যান ও ৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এঘটনায় মেরুরচর, ভাটি কলকিহারা, ফকির পাড়া ও বাঘাডুবা গ্রামের নামীয় ৯২ জন ও অজ্ঞাত ১৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপর থেকে এসব এলাকার মানুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় পুলিশের উদ্যোগে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ঘরে ফিরতে একাধিকবার সভা করা হয়।