দুই পরীক্ষার্থী বহিষ্কার জানল ৪ দিন পর পরীক্ষা দিতে এসে

সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্র

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: পরীক্ষা কেন্দ্রে উত্তরপত্র পাওয়ার ১০ মিনিট পর দুই পরীক্ষার্থীকে জানানো হয় পূর্বের পরীক্ষায় তারা বহিষ্কার। ২১ নভেম্বর এ ঘটনাটি ঘটে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (ভোক) কেন্দ্রে চলমান এসএসসি পরীক্ষায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৬ নভেম্বর এসএসসি (ভোক) ট্রেড-১ ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি উপজেলার শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের (ফুড প্রসেসিং) এক শিক্ষার্থী ও চর বাঙ্গালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের (ড্রেস মেকিং) আরেক শিক্ষার্থীকে নকল করতে দেখেন। পরে নির্বাহী হাকিম তাদের বহিষ্কার করতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও কেন্দ্র সচিব ওয়াজেদা পারভীনকে নির্দেশ দেন। কিন্তু কেন্দ্র সচিব এ নির্দেশ পালনে গড়িমসি করেন এবং বহিষ্কৃতদের উত্তরপত্র সব উত্তরপত্রের সাথেই বোর্ডে পাঠিয়ে দেন। পরদিন ১৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপমা ফারিসা কেন্দ্র সচিব ওয়াজেদা পারভীনের বিরুদ্ধে নির্বাহী হাকিমের আদেশ অমান্য করার দায়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে পরবর্তীতে ওই পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার কার্যকর করা হলেও তারা বিষয়টি জানতো না। পরীক্ষার্থী দু’জন ২১ নভেম্বর পরীক্ষা দিতে আসে। যথারীতি কক্ষ পরিদর্শকের কাছ থেকে খাতা নিয়ে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে উত্তরপত্রের বৃত্ত ভরাট করে তারা। বিষয়টি কেন্দ্র সচিবের কানে যাওয়ার পর তাদের কাছ থেকে উত্তরপত্র ও এডমিট কার্ড নিয়ে নেন কক্ষ পরিদর্শক।

পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানায়, বহিষ্কার করা হয়েছে নাকি ১৬ তারিখে, ৪ দিন পরে কেন জানলাম! তাও খাতায় লেখা শুরু করার পর নিয়ে নেয়া হয়। এ কথা বলেই তারা কাঁদতে থাকে।

কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ওয়াজেদা পারভীন বলেন, বহিষ্কারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বুঝতে না পারায় প্রথমদিন একটু সমস্যা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীরা চলে যাওয়ায় ওইদিন নোটিশটি তাদের জানানো হয়নি। তাই পরীক্ষার হলে আসার পর বুঝিয়ে এডমিট কার্ড নিয়ে নেয়া হয়।