বকশীগঞ্জে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জেলা জামায়াতের আমিরসহ ১৪ নেতা কর্মী আটক

নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে আটক জেলা জামায়াতের আমিরসহ ১৪ জামায়াত নেতা কর্মী। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে জেলা জামায়াতের আমিরসহ ১৪ জামায়াত নেতা কর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

২০ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিবাগ এলাকার জহুরুল হক মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদে বৈঠক করার সময় তাদের আটক করা হয়।

একইদিন সন্ধ্যায় জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বকশীগঞ্জ থানায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ১৪ নেতা কর্মীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল ও বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট উপস্থিত ছিলেন।

আটকরা হলেন- জামালপুর জেলা জামায়াতের আমির আইনজীবী নাজমুল হক সাঈদী, বকশীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ও বাট্টাজোড় কে. আর. আই কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মওলানা আদিল ইবনে আউয়াল, জামালপুর জেলা জামায়াতের সদস্য অধ্যাপক আবদুল আজিজ, সদস্য মোহাম্মদ আলী, জামায়াত কর্মীদের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মাহবুব জামী, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নিয়ামত উল্লাহ, হালুয়াঘাট উপজেলার আনিছুজ্জামান ওরফে জুনায়েদ, একই উপজেলার মো. খালেকুজ্জামান, ময়মনসিংহ পাগলা থানার ইসমাইল হোসেন, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার জুলফিকার আলম, জামালপুর সদর থানার মো. সুলতান ও বকশীগঞ্জ উপজেলার মো. আবদুল মালেক।

২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বকশীগঞ্জ থানায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতি উস্কে দেওয়া ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে ও নাশকতামূলক পরিকল্পনা করার জন্য আটকরা প্রথমে পৌর এলাকার নামাপাড়া গ্রামে অবস্থিত শহীদ তীতুমির আইডিয়াল একাডেমিতে নেতা কর্মীদের সাথে বৈঠক করেন।

এরপর দুপুরে মালিবাগ এলাকায় অবস্থিত মসজিদে তারা বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ বৈঠক করার সময় তাদের আটক করতে সক্ষম হন। আটকের পর তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরকে ২ অক্টোবর আদালতে পাঠানো হয়েছে। যে কোন ধরনের নাশকতা বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।