জামালপুরে মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মজয়ন্তী পালিত

মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাশহাটিয়া গ্রামের মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর ও গান্ধী আশ্রম চত্বরে মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী পালনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুমন মাহমুদ, বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

‘আমার জীবনই আমার বাণী’ কথাটি বলেছিলেন শান্তি, অহিংসা ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনের জনক মহাত্মা গান্ধী। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অহিংসার মূর্ত প্রতীক হিসেবে জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালিত হয় আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে। মহান মানুষটির আজ ১৫২তম জন্ম জয়ন্তী। তাই সারাদেশের ন্যায় জামালপুরেও তাঁর জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২ অক্টোবর সকালে জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাশহাটিয়া গ্রামের মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর ও গান্ধী আশ্রম চত্বরে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রবীণ সাংবাদিক এবং মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘরের ট্রাস্টি উৎপল কান্তি ধরের সভাপতিত্বে ও কবি সাযযাদ আনসারির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজিয়া সামাদ ডালিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর প্রতীক জহুরুল হক মুন্সি, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রমেণ বণিক, বিশিষ্ট কবি আলী জহির, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি অজয় পাল বাবু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রজিয়া সামাদ বলেন, এমন মহৎ প্রাণ পৃথিবীতে বিরল। এই মহান মানুষটি পৃথিবীতে অসাম্প্রদায়িকতা, অহিংসার কথা বলেছেন। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে অহিংস আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। ২ অক্টোবর মহাত্মাগান্ধী জন্ম গ্রহণ করেন। আর এই দিনটিতে সারা পৃথিবীতে বিশ্ব অহিংস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পৃথিবীতে অহিংসা এখন খুব জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে মানুষের মাঝে।

ট্রাস্টি হিল্লোল সরকার বলেন, মহাত্মা গান্ধী ছিলেন অহিংসার প্রতীক, সত্যাগ্রহ আন্দোলনের জনক। ১৯৩৪ সালে জামালপুরে গান্ধী আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তানি শাসক চক্র ১৯৪৮ সালে বার বার হামলা ও আক্রমণ চালিয়ে আশ্রমের বহু স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হলেও ২০০৭ সালে এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠির উদ্যোগে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে পুনরায় শুরু হয় জামালপুরে গান্ধী আশ্রম। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এইদিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য আবারও উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে আশ্রম ও জাদুঘর।