শ্রীবরদীতে প্রতিবেশী ব্যক্তির ধর্ষণে শিশু শিক্ষার্থী অন্তঃসত্বা

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী পঞ্চাশোর্ধ আব্দুল হাকিম ভূষি ফুঁসলিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে গেল ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার পুরান শ্রীবরদী গ্রাম থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক আব্দুল হাকিম ভূষিসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

তবে ১২ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত আসামি পক্ষের কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।

ভিকটিমের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভিকটিম নয়ানি শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতেই থাকতো ওই শিশু শিক্ষার্থী। প্রায় পাঁচ মাস আগে প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম ভূষির স্ত্রী ও মেয়ে ঢাকায় চলে যায়। এ সুযোগে হাকিম ওই শিশুকে ফুঁসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ওই শিশুকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন ঢাকায় যাবে এমন খবর পেয়ে আব্দুল হাকিম ভূষি ওই শিশুকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে এ নিয়ে গ্রাম্য শালিসীতে ওই শিশু অন্তঃসত্বা হওয়ার বিষয়টি ওঠে আসে। বিয়ের বিষয়ে রাজী না হয়ে ভিকটিমের পরিবার ওই শিশুকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করান। এতে তার অন্তঃসত্বা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

বিষয়টি জানাজানি হলে থানা পুলিশ ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষক আব্দুল হাকিম ভূষিসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

শ্র্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।