শেখ হাসিনার রাজনীতি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কল্যাণের জন্য : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, দেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক লক্ষ্য। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নয়ন ও অর্জনের পেছনে শেখ হাসিনার ভূমিকা বিশ্বের দরবারে আলোচিত।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোপাল নগর সরকারি বিদ্যালয় মাঠে ২৫ আগস্ট বিকালে গাইবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়তে ব্যস্ত ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর মানুষের ভোটাধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের পর তাকে অদ্যবদি পর্যন্ত অনেক বাধা-বিপত্তিতে দিন অতিক্রম করতে হয়েছে।

সরকার জাতির পিতার স্বপ্ন অনুযায়ী দেশের মানুষের, বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষের খাদ্য, বাসস্থান ও উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশের জনগণ কিছু পায়, দেশের উন্নয়ন হয়। ২১ বছর এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। ‘৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামপুরের রাস্তা ঘাট উন্নয়নে হয়েছে, আরও হবে। আগামী দু-এক বছরের মধ্য ইসলামপুরকে চেনা কঠিন হবে। দেশরত্ন আমাকে সেই সহযোগিতা করেছে। কোনকিছু বাকি থাকবে না।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আব্দুস সালাম, যুগ্মসম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাসের বাবুল, চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ, চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, তথ্য সম্পাদক খোরশেদ আলম, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান লাজু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আজাদ ইমরান, আসাদুল হক দুলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।