ভারতের মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ১৩৬ জনের মৃত্যু

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৬ জনে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৮৪ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। রাজ্যের ছয় জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাইগড় ও সাতারা জেলায় মৃতের সংখ্যা সব থেকে বেশি। রাইগড়ের মাহাদ মহকুমায় ভূমিধসের ফলে একটি গ্রামের ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা কবলিত পুণে ডিভিশন থেকে মোট ৮৪ হাজার ৪৫২ জনকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র কোলাপুর জেলা থেকেই ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। সাংলি জেলা থেকে ৩৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৫৪টি গ্রাম সম্পূর্ণ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রত্নাগিরি জেলার চিপলুনের অ্যাপারেন্ট হাসপাতালে বন্যার পানি প্রবেশের ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এরফলে ৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি কোভিড হাসপাতাল এবং যারা মারা গেছেন তারা সকলেই অক্সিজেনের সহায়তায় ছিলেন।

অন্যদিকে, রায়গঞ্জের তালাই গ্রামে পাহাড়ের ধ্বংসাবশেষ আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ায় এর নীচে ৩৫টি বাড়ি চাপা পড়েছে। ওই দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৭০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনাস্থল ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সাতরা আম্বেঘর গ্রামেও ভূমিধসের ঘটনায় 8 জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন।

একটানা প্রবল বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন নদীর পানি শহর, ও গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করেছে। আবহাওয়া দপ্তর ইতোমধ্যেই রাইগড়, রত্নগিরি, সিন্ধুদূর্গ, পুণে, সাতারা ও কোলাপুর জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সেনা ও নৌবাহিনীও যোগ দিয়েছে। হেলিকপ্টারে করে দুর্গতদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এদিকে, মহারাষ্ট্রে ভূমিধস ও অন্যান্য কারণে বিপুল প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি ও অন্য জাতীয় নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।সূত্র:পার্সটুডেবাংলা।