ইসলামপুরে জিন পরিচয়ে মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণকারী সাইফুল আটক

ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় জিন পরিচয়ে মাদরাসা ছাত্রী (১৩) ধর্ষণ ঘটনার আসামি মোহতামিম হাফেজ সাইফুলকে (৩৬) আটক করেছে ইসলামপুর থানা পুলিশ।

আটক ধর্ষক হাফেজ সাইফুল উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়নের বাগে জান্নাত তালিমুন নিছা কওমি মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানার মোহতামিম। তিনি চিনারচর গ্রামের মৃত ইন্তাজ বেপারীর ছেলে।

অভিযোগে জানা যায়, ২০১৫ সালে ওই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে মোহতামিম হাফেজ সাইফুল বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত হয়ে কৌশলে মাদরাসার ছাত্রীদের যৌন হয়রানীসহ জিন পরিচয়ে মাদরাসার আবাসিক ছাত্রী ধর্ষণ করতেন।

ভুক্তভোগী শ্লীতাহানীর শিকার ছাত্রীরা জানায়, অভিযুক্ত মোহতামিম হাফেজ সাইফুল আমাদের প্রতিনিয়ত জিন পরিচয়ে যৌন হয়রানী করতেন। বিষয়টি আমরা অভিভাবকদের জানাতে চাইলে হুজুর আমাদের কাউকে না বলার জন্য কোরআন শরীফ নিয়ে শপথ করান এবং ভয় দেখান। এসব ঘটনায় হুজুরের অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে ধর্ষণের শিকার মাদরাসার এক ছাত্রী (১৩) তার পরিবারকে জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে গত ২৩ মে ইসলামপুর থানায় ওই মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ সাইফুলকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হওয়ার খবর পেয়ে ধর্ষক সাইফুল ইসলাম মাদরাসা থেকে আত্মগোপনে চলে যান।

এ ব্যাপারে ইসলামপুর সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন মিয়া জানান, পলাতক ধর্ষক সাইফুলকে ধরতে আমরা বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করতে থাকি। এক পর্যায়ে ৭ জুন রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম রফিক, হান্নান মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে টঙ্গী স্টেশন রোডে তার নিকটাত্মীয়র বাসা থেকে ধর্ষক সাইফুলকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আটক ধর্ষক সাইফুলকে ৮ জুন দুপুরে জামালপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।