যাদের চলাচলে ‘মুভমেন্ট পাস’ লাগবে না

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ করোনা সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জরুরী সেবা খাতগুলো খোলা রয়েছে। বিধি-নিষেধের মধ্যে যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন হবে তাদের জন্য ‘মুভমেন্ট পাসে’র ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

এজন্য একটি অ্যাপস তৈরি করেছে পুলিশ। এর নাম ‘মুভমেন্ট পাস অ্যাপস’।

এই পাসধারী ব্যক্তি বাধাহীনভাবে সড়কে চলাচল করতে পারবেন। তবে জরুরি সেবাখাতের মানুষদের মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

তারা শুধু পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বিধিনিষেধের সময় চলাচল করতে পারবেন।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ১৫ এপ্রিল এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, চলমান বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যারা, তারা হচ্ছে- চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল স্টাফ, কোভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ, সাংবাদিক, গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান, ব্যাংকার, ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ, টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী, অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, ডাকসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা, বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তারা।

এদিকে ৪৬ ঘন্টায় ‘মুভমেন্ট পাস’ (https://movementpass.police.gov.bd/) ওয়েবসাইটে ১৬ কোটি হিট: ৪৬ ঘন্টায় এ পর্যন্ত মোট ১৬ কোটি নাগরিক পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’ নেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ১৫ এপ্রিল সকাল ৯টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটে ১৬ কোটি হিট হয়েছে। সে হিসেবে প্রতি মিনিটে হিট হয়েছে ৫৭ হাজার ৯৪২টি। তবে তাদের সবাই পাসের জন্য আবেদন করেননি।

গত ৪৬ ঘন্টায় ৩ লাখ ১৬ হাজার নাগরিককে মুভমেন্ট পাস দেওয়া হয়েছে।

একটি নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য এই ‘মুভমেন্ট পাস’ ইস্যু করা হয়। ওই সময় অতিবাহিত হলে কিংবা নির্ধারিত গন্তব্য থেকে অন্য কোথাও যেতে হলে পুনরায় এই মুভমেন্ট পাস ইস্যু করতে হবে। এই পাস কেবল মাত্র জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারযোগ্য।