চলে গেলেন অধ্যক্ষ মাওলানা জাকারিয়া

মাওলানা এস এম জাকারিয়া জিল্লুল্লাহ্

:: মো. মুত্তাছিম বিল্লাহ::
পয়লা বানিয়াবাড়ী ফাযিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর গুনারিতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ মাওলানা এস এম জাকারিয়া জিল্লুল্লাহ্ মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১২ এপ্রিল সকাল ১০.৩০ মিনিটে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালাভরট গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার মৃত্যুর সংবাদে আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক সমাজ, বন্ধু-বান্ধব ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। ১২ এপ্রিল বিকেল ৫.৩০ মিনিটে নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মাওলানা জাকারিয়া এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ মির্জা আজম এমপি। মির্জা আজম এমপি মরহুম মাওলানা জাকারিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলে বাড়ি ফেরেন।

সদ্য প্রয়াত সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা এসএম জাকারিয়া জিল্লুল্লাহ সমাজে অধ্যক্ষ জাকারিয়া/মাওলানা জাকারিয়া নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি সর্ব প্রথম মাদারগঞ্জ আব্দুল আলী মির্জা আবুল কাশেম ফাযিল মাদরাসায় শিক্ষকতা দিয়ে কর্ম জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ীতে ভাটিয়ানী দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার, মিলন বাজার আলিম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও সর্বশেষ ২০২০ সালে ফেব্রæয়ারিতে মেলান্দহের পয়লা বানিয়াবাড়ী ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। শিক্ষক সংগঠন জামিয়াতুল মোদাররেছিন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন তিনি বালাভরট দাখিল মাদরাসা, সোলায়মান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ৩ নম্বর গুনারিতলা ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত ওলামালীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। শিক্ষানুরাগী হিসেবেও বেশ পরিচিত ছিলেন। তিনি সেকান্দার আলী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সিটিটিউট, বালাভরট দাখিল মাদরাসা ও সেলায়মান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, কন্যা ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।