নীতি পরিবর্তন না করলে বাইডেনের ডাকে সাড়া দেবে না পিয়ংইয়ং

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ‘শত্রুতাপূর্ণ নীতি’ পরিহার না করলে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাতে সাড়া দেবে না উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই শীর্ষ মার্কিন মন্ত্রীর সফর এবং সেখানে নির্ধারিত বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে ১৮ মার্চ এ কথা জানাল দেশটি। খবর এএফপি’র।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদসংস্থা ইওনহাপ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিমন্ত্রী চোয়ে সন হুই বলেছেন, ‘পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি ওয়াশিংটনের শত্রুতাপূর্ণ নীতি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ বা বৈঠকও হবে না। এমনকি কূটনৈতিক বা যেকোনো স্তরে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের যোগাযোগের চেষ্টা আমরা এড়িয়ে যেতেই থাকবো।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করছেন। ১৮ মার্চ তারা দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বাইডেন প্রশাসনের দুই মন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিউল সফরের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার অন্যতম জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর এমন বক্তব্য সামনে এলো। সিউল থেকে ব্লিংকেন ও লয়েডের জাপানে যাওয়ার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য জানিয়েছে যে, তারা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের চেষ্টা করছে। কিন্তু কিম জং উনের প্রশাসন তাতে সাড়া দিচ্ছে না। এছাড়া দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হতে চললেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকে এখনও স্বীকৃতি বা শুভেচ্ছা জানায়নি দেশটি।

এর আগে শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে গোলাবারুদের গন্ধ না ছড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। তিনি বলেন, ‘নতুন দায়িত্ব নেওয়া মার্কিন প্রশাসনকে আমি সাবধান করে দিচ্ছি, তারা যেন সমুদ্রপার থেকে এসে আমাদের দেশে গোলাবারুদের গন্ধ ছড়ানোর চেষ্টা না করে। যদি তারা আগামী চার বছর নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চায়, তা হলে তারা যেন এই ধরনের কাজকর্ম থেকে বিরত থাকে।’

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া হয়েছে। তারপরেই মুখ খোলেন কিম ইয়ো জং। তিনি দেশ দু’টির যৌথ সামরিক মহড়ার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এর (যৌথ সামরিক মহড়া) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার আবারও মূলত ‘যুদ্ধ ও সংকট’কে বেছে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটন ও সিউলের যৌথ সামরিক মহড়াকে সবসময় আক্রমণ বা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বর্ণনা করে থাকে উত্তর কোরিয়া।