বকশীগঞ্জে করোনাকালীন দুর্যোগে জিআর কার্যক্রম নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে মানবিক সহায়তা (জিআর) কার্যক্রম বিষয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ‘গণতান্ত্রিক সুশাসনে জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ’ প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটির পর্যায়ে সরকারি পরিষেবার কার্যকারিতায় করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সৃষ্ট দুর্যোগে বিশেষ মানবিক সহায়তা (জিআর) কার্যক্রম বিষয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ ও সিপিডির যৌথ অংশীদারিত্বে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মাঠে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

গণশুনানীতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার। বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজার সভাপতিত্বে এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

উন্নয়ন সংঘের রিকল ২০২১ প্রকল্পের সমন্বয়কারী জোৎস্না আক্তারের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট, সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক (কর্মসূচি) মোরশেদ ইকবাল, সাংবাদিক সরকার আবদুর রাজ্জাক, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম, উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, মাদারের চর গ্রাম উন্নয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক শাহ সুলতান, জেলা নেটওয়ার্কের সহসভাপতি শাহীনা বেগম, জেলা নেটওয়ার্কের সদস্য শাহাজ উদ্দিন, জিআর চাল গ্রহণকারী ছাইদুর মন্ডল প্রমুখ।

গণশুনানীতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ইউপি সচিব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সিবিও সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

করোনাকালীন সরকারের দেওয়া মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ সমূহ, ইতিবাচক দিক, তথ্য সংগ্রহকারীদের মতামত ও সুপারিশ প্রদান, সরকারি সেবার পর্যাপ্ততা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।

গণশুনানীর আলোচনা থেকে জানা যায়, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডির) যৌথ অংশীদারিত্বে এবং উন্নয়ন সংঘ ইইউ সিএসও প্রকল্পের মাধ্যমে সাধুরপাড়া, মেরুরচর, নিলক্ষিয়া ও বগারচর ইউনিয়নের ২৫টি সিবিও’র লিডার সামাজিক নিরীক্ষা কার্যক্রমের জন্য করোনাকালীন সরকারের দেওয়া জিআর চাল বিতরণ বিষয়ের ওপর তথ্য সংগ্রহ করেন।

এই চারটি ইউনিয়নের চাল পেয়েছেন (সেবা গ্রহণকারী) ১০০টি পরিবার ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ১০ জন যারা সেবা প্রদান করেছেন এবং ১০ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

স্থানীয় কৃর্তপক্ষ, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত কল্পে তথ্য সংগ্রহকারীরা বেশ কিছু সুপারিশ ও মতামত প্রদান করেন।