জামালপুরে কৃষকদের মাঝে জিংক ধানের বীজ বিতরণ

জিংক সমৃদ্ধ ধানের বীজ কৃষকদের হাতে তুলে দেন সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি জনসাধারণের পুষ্টি উন্নয়নের জন্যে জামালপুরে হারভেস্টপ্লাস এর উদ্যোগে জিংক ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন।

২৯ নভেম্বর জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডোলা শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরল হক। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএডিসির উপ-পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম টুটুল, হারভেস্টপ্লাস বিংগস প্রকল্পের সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান খান, ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিংগস প্রকল্পের ব্যবস্থাপক এন্টনি বারিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হারভেস্টপ্লাস এর কমিউনিকেশন এন্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দা নুহারা বেগম।

বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এদিন ৪৫০টি পরিবারের মাঝে ৪ কেজি করে ব্রি ধান-৭৪ এবং ব্রি ধান-৮৪ বিতরণ করা হয়। আয়োজক সংস্থা জানায়, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় ১২ হাজার কৃষককে জিংক সমৃদ্ধ ধানের বীজ, ৩০০ পরিবারের মাঝে উন্নত জাতের গমের বীজ এবং ১০০ পরিবারের মাঝে মসুরের বীজ বিতরণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে ছেলে মেয়েরা খাটো হয় না। শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয়। ক্ষুধা-মন্দা দূর করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবার খেলে জিংক বড়ি খেতে হবে না।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. খায়রুল বাসার। ড. বাসার বলেন, হারভেস্টপ্লাস জনসাস্থ্য উন্নয়নে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে। জামালপুর ও শেরপুর জেলার ৬টি উপজেলায় বিংগস প্রকল্পের আওতায় হারভেস্টপ্লাস জিংক সমৃদ্ধ ধান মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ ও পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি জিংক ধান বেশী বেশী চাষাবাদের পাশাপাশি বীজ রাখা ও নিয়মিত জিংক চালের ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন।

আয়োজক সংস্থা জানায়, জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে কিশোরী ও গর্ভবতী মায়ের জিংকের অভাব হলে শারীরিক দূর্বলতা দেখা দেয় এবং গর্ভের সন্তানের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

উল্লেখ্য, দৈনিক শিশুদের ৩-৫ মিলিগ্রাম ও মহিলাদের ৮-৯ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন।

ইউরোপিয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় বিংগস প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।