জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সর্বস্তরের মানুষদের মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করতে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক রাস্তায় নেমে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালিয়েছেন। এ সময় জেলা প্রশাসক পথচারী, গাড়িচালক ও যাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্কও বিতরণ করেছেন। ২৪ নভেম্বর দুপুরে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড় এলাকায় এই প্রচারাভিযানে নামেন জেলা প্রশাসক।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ও আইন সম্পর্কে সর্বস্তরের মানুষদের সচেতন করতে ২৪ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক তার কার্যালয় থেকে পায়ে হেঁটে প্রধান রাস্তা হয়ে শহরের ফৌজদারি মোড় পর্যন্ত প্রচারাভিযানে নামেন। এ সময় পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কবীর উদ্দিন, এনডিসি মো. ইবনুল আবেদীন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম মো. আরিফুর রহমানসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারাও তার সাথে এ প্রচারাভিযানে অংশ নেন।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক এই প্রচারাভিযানের সময় জেলা প্রশাসক রাস্তায় পথচারী, অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহনের চালক ও যাত্রী, দোকানপাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন যাত্রী, পথচারী হোটেল শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের মুখে মাস্ক পরিয়ে দিয়ে তাদের নিয়মিত মাস্কপরা, স্বাস্থ্যবিধি ও আইন মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি। এ সময় পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারাও অনেকের মুখে মাস্ক পরিয়ে দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশনা ও বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন করতে আমরা সবাই মিলে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাসদরসহ সাতটি উপজেলায় মাস্ক পরতে বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা ছাড়াও সচেতনামূলক প্রচারাভিযান অব্যাহত রেখেছি। কারণ প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে মাস্ক। যদি কারো মাস্কের প্রয়োজন হয় আমাদেরকে বলবেন। আমাদের হটলাইন নম্বরে জানাবেন। প্রয়োজনে আমরা আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাস্ক পৌঁছে দিয়ে আসবো। আপনারা কেউ মাস্কপরা ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। মাস্কপরা ছাড়া কেউ শহরে ঘোরাফেরা করবেন না। মাস্কপরা ছাড়া কাউকে আমরা সার্ভিস দিবো না।