বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ থেকে
বাংলারচিঠিডটকম
তালাক দেওয়া সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউপি সদস্য কেরামত আলী কেরুকে (৫৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় চেংটিমারী গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। ২৮ অক্টোবর ওই নারীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে রাতেই ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ইউপি সদস্য কেরামত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগকারী ওই নারী। তাদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে পরবর্তীতে তাকে তালাক দেন কেরামত আলী। তালাক দেওয়ার পরও ওই নারীর সাথে যোগাযোগ রাখতেন কেরামত আলী। ২৭ অক্টোবর রাতে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন কেরামত আলী।
এ সময় ওই নারীর ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা কেরামত আলীকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রামবাসীর হাতে আটক হওয়ার পর কেরামত আলী ঘটনার আপসের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ওই নারী এতে রাজি হননি। তাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২৮ অক্টোবর রাতে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
মামলা দায়েরের পর স্থানীয় সাননন্দবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. জোয়াহেরুল ইসলাম ২৮ অক্টোবর রাতেই ওই এলাকা থেকে ইউপি সদস্য কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার করে দেওয়ানগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন। ২৯ অক্টোবর সকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার কেরামত আলীকে জামালপুর আদালতে পাঠিয়েছে দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, তালাক দেওয়ার পরও সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার কেরামত আলীকে জামালপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।