গুঠাইল সড়কের বেহাল অবস্থা

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

অতি বৃষ্টি ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জামালপুরের ইসলামপুর-গুঠাইল সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আট কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের প্রায় পুরোটা জুড়েই পিচের চিহ্ন নেই। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় হেলেদুলে ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ফলে এ পথে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

পুরো সড়কের পিচ উঠে খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় সড়ক ভেঙে খোয়া-পাথর উঠে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ধীরগতিতে চলছে অটোরিকশা, ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন চললেও প্রতি নিয়তই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এছাড়া বালুবোঝাই ভটভটি ও ট্রাক্টরও চলাচল করছে। সড়কের ইসলামপুর ডিগ্রি কলেজ মোড়, কাচারিপাড়া, ঢেংগারগড়, বানিয়াবাড়ী, দেলিরপাড়, পশ্চিমপাড়া ও গুঠাইল বাজার এলাকার অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।

স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইসলামপুর-গুঠাইল সড়কটি বেলগাছা, নোয়ারপাড়া, চিনাডুলী ও সাপধরী ইউনিয়নের ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষের ইসলামপুর পৌর শহর ও জামালপুর জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। এবারের বন্যায় সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বেশিরভাগ অংশে পিচ ও খোয়া উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে।

বেলগাছা ও চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানান, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। সড়কটির কারণে পশ্চিম অংশের ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগে পড়েছে ।

গুঠাইল এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক শাকিল আহম্মেদ জানান, এই সড়ক দিয়ে গুঠাইল থেকে ইসলামপুরে যেতে সময় কম লাগত। সড়কটি খারাপ থাকায় দীর্ঘ সময় লাগলেও বড় বড় গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে যায়। এছাড়াও সোস্যাল মিডিয়াতে পথচারীরা রাস্তার দুই ধারে মজবুত এবং টেকসই পাইলিং, দ্রুত পানি নেমে যেতে নিস্কাশন ব্যবস্থা, মজবুত রডের গাঁথুনীসহ ঢালাই করা রাস্তা দ্রুত স্থায়ী মেরামতের দাবি জানান।

ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, আবারও বন্যা এসে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ পড়ছে। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে সড়কটিতে চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিকল্পনা অনেক আগেই নিয়েছি আমরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।