নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক: নারাণগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় আব্দুস ছাত্তার (৪০) নামের এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউ-তে মারা গছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

১০ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ৯টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস ছাত্তারের মৃত্যু হয়।

চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, ছাত্তারের শরীরে ৭০ শতাংশ বার্ন ছিল। চিকিৎসাধীন বাকি ৭ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত নন। সবাই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তারা হলেন- ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), মোস্তফা কামাল (৩৪), রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), জামাল আবেদিন (৪০), ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), মো. রিফাত (১৮), মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), রাসেল (৩৪), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭), নাদিম (৪৫), বাহার উদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান (৪৫) জুলহাস (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৫৫), আবুল বাশার মোল্লা (৫১), মনির ফরাজি (৩০), ইমরান হোসেন (৩০), আবদুল হান্নান (৫০) ও আব্দুস ছাত্তার (৪০)।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত মসজিদে এ বিস্ফোরণ হয়। মসজিদের নিচে গ্যাসের লাইনে অসংখ্য লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ধারণা করছে।

এ ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিতাসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।