যমুনার শাখা আলাই নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প চায় এলাকাবাসী

যমুনার শাখা আলাই নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প চায় এলাকাবাসী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

নদীর এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে, এইতো নদীর খেলা…। নদীর ভাঙ্গা গড়া আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ দেখে এক শিল্পী গানটি গেয়েছিলেন। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা ব্রহ্মপুত্র, আলাই বিল ভাঙ্গনের খবর হয়তো তখন তাদের কাছে ছিল না। এখানকার যমুনা ব্রহ্মপুত্র, আলাই বিল ভাঙ্গনে নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ন জনপদ ও ফসলের জমি।

এবারের বন্যার পানি কমার সাথে সাথে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গনসহ সদর ইউনিয়নের উত্তর পচাবহলা সরকার পাড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার শাখা নদীর আলাই খালের ভাঙ্গনে যাতায়াতের সড়ক সহ ১৫টি বসত ভিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বসত ভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করেছে নদী ভাঙ্গনের শিকার ওই পরিবার গুলো। অব্যাহত ভাঙ্গনে উপজেলা সদর ইউনিয়নে পচাববহলা সরকার পাড়ার বসবাস কারী মানুষগুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। এছাড়াও মসজিদ মাদরাসাসহ ভাঙ্গন আতঙ্কে হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছে এপার ওপারের হাজারো মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর পানি কমে যাওয়ায় যমুনা নদীর শাখা আলাই নদীর ভাঙনে পচাবহলা সরকার পাড়া গ্রামের সড়ক ও কবরস্থান সহ প্রায় ১৫টি বসতভিটা নদী ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।

নদী ভাঙ্গনের শিকার সামসুল সরকার, বারেক সরকার, ফজল সরকার, দিপু সরকার, রিয়াজুল সরকার, আসাদুল্লাহ, শহিদুল্লাহসহ অন্যান্যরা জানান, যমুনার শাখা নদী আলাই খাল প্রায় ১০ বছর থেকে একটু একটু করে ভাঙ্গছে। এবার যাতায়াতের সড়কসহ সাতটি বসত ভিটাসহ এ যাবৎ ১৫টি বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই এলাকার এক টুকরা জমিও থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা। ঝুঁকিতে রয়েছেন দুই এলাকার শত শত পরিবার। তাদের দাবি এবারের ভয়াবহ ভাঙ্গণ রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে। সংসদ সদস্য মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।