জামালপুরে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, আরও শনাক্ত ২৯

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলায় করোনার সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। ১৪ আগস্ট নতুন করে আরও ২৯ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ২০ জন। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাংক কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য, গৃহিনী, রাজমিস্ত্রি ও শিক্ষার্থী রয়েছেন। জামালপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৮২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ২৯ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুর সদর উপজেলায় ২৩ জন, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জে দু’জন করে এবং সরিষাবাড়ী ও মেলান্দহ উপজেলায় রয়েছেন একজন করে। এর মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও এক শিশু রয়েছে।

নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ২৯ জনের মধ্যে জামালপুর সদর উপজেলাতেই সবচেয়ে বেশি ২৩ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে জামালপুর সদর হাসপাতালের একজন পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মী ও তার নয় বছরের ছেলে, পৌরসভার বাগেটরহাটা এলাকায় যমুনা ব্যাংকের একজন নারী কর্মচারী, সরদারপাড়ায় ইসলামী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা, বেলটিয়ায় একজন করে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির একজন নারী কর্মচারী, পাথালিয়ায় একজন ব্যবসায়ী ও এক ছাত্র, নয়াপাড়ায় দু’জন গৃহিনী, ফুলবাড়িয়া গেটপাড়া এলাকায় ট্যাক্স ফার্মের কর্মচারী, মিয়াপাড়ায় একজন করে পুরুষ, নারী ও শিশু, বোসপাড়ায় জামালপুর পৌরসভার একজন পেশকার ও একজন কম্পিউটারকর্মী, কাছারিপাড়ায় কলেজছাত্র, বানিয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টের একজন প্রকৌশলী, রানাগাছা ইউনিয়নের দরিহামিদপুরে একজন রাজমিস্ত্রি ও লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের বারোয়ামারী গ্রামের বাসিন্দা একজন আনসার সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া ইসলামপুর পৌরসভার পাটনিপাড়া এলাকায় বয়স্ক এক ব্যক্তি ও ঢাকাফেরৎ ট্যাক্স অফিসের একজন কর্মচারী, মাদারগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ও নামা তারতাপাড়া গ্রামে দু’জন কৃষক, মেলান্দহ পৌরসভার দক্ষিণ আদিপৈত গ্রামের এক ব্যক্তি এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের কুমারপাড়ায় এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

জামালপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস এ প্রতিবেদককে জানান, ১৪ আগস্ট নতুন করে শনাক্ত ব্যক্তিরাসহ এ পর্যন্ত জামালপুর জেলায় করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১১৬৯ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ জন। বর্তমানে হাসপাতালে এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩১৪ জন।