সানন্দবাড়ীতে বন্যা, হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি

বাড়িতে বন্যার পানি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বোরহান উদ্দিন, সানন্দবাড়ী (দেওয়ানগঞ্জ) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও জিঞ্জিরাম নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র বন্যার পানির নীচে তলিয়ে গেছে। হুহু করে বন্যার পানি বাড়ায় সানন্দবাড়ী জল সেতু ও বাজার সংলংগ্ন রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহনসহ জনগণকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সানন্দবাড়ী ডিগ্রি কলেজে মাঠ ও সানন্দবাড়ী গো হাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

ডাংধরা, চর আমখাওয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রতিটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছে। অনেকের বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। খাবার রান্না করার মত চুলা পানিতে তলিয়ে গেছে। দূর থেকে খাবার তৈরি করে এনে খাচ্ছে।

প্রথম দফা বন্যার পর কৃষক বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্ত ছিল। কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হলো আবার বন্যা। আমন ধানের বীজতলা ও সোনালী আঁশ পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট, ক্ষেত খামার তলিয়ে যাওয়ায় দিন মজুর মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. মাসুদ জানান, তার ইউনিয়নে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হারুয়াবাড়ী পশ্চিমপাড়া, পূর্বপাড়া, পানতামারী, বিন্দুরচর জোয়ানেরচর, দিয়ারা, মাখনেরচর, কুমারের চর গ্রামের প্রতিটি বাড়ির লোকজন বন্যার পানিতে বন্দি। অনেক বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। রান্না বান্না করার মত যায়গা তাদের নেই। জরুরীভাবে শুকনা খাবার বিতরণ করার জন্য উপজেলার প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।

চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দ জানান, এবারের বন্যায় সারা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছে। অনেকের বাড়ি তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে এক গ্রামের মানুষ আরেক গ্রামে যেতে পারছে না।

বয়ড়াপাড়া, মৌলভীরচর, টুপকারচর, মন্ডলপাড়া পশ্চিমপাড়া, শেখপাড়া, পাটাধোয়াপাড়া, মধ্যেরচর, আকন্দপাড়া, সিলেটপাড়া, নবীনাবাদ, পশ্চিম লংকারচর, গুচ্ছ গ্রাম, সবুজপাড়া গ্রামেরর লোকজন পানিতে বন্দি। অনেক বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের অনেক নিচু এলাকার বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। সারা ইউনিয়নের বন্যাবন্দি মানুষের জন্য জরুরী শুকনো খাবার দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।