শিকলবন্দী জীবন

নিরুপতি কোচ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

নিরুপতি কোচ (৩৭)। প্রায় এক যুগ আগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের এই নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। সে যেন কোথাও হারিয়ে না যায় এ কারণে তার মা তাকে পায়ে শিকলের বেড়ি পরিয়ে বাড়িতে রেখেছেন। আর্থিক সামর্থ না থাকায় নিরুপতির ভাগ্যে জোটেনি চিকিৎসা সেবা। এখনও চলছে ওই নারীর শিকলবন্দী জীবন। ওই নারীর বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউপির নওকুচি গ্রামে। সে ওই গ্রামের সতেন্দ্র কোচের স্ত্রী।

নিরুপতির বৃদ্ধা মা পাতিশ্বরী কোচ জানান, বিশ বছর আগে স্থানীয় সতেন্দ্র কোচের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। আর বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর মা হন নিরুপতি। এরপর থেকেই সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এ সময় তার মেয়ে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে এদিক সেদিক চলে যেত। সে যেন কোথাও হারিয়ে না যায় তাই পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হয়। এক বছর হলো তার মেয়ে স্বামী হয়। ফলে অভাব-অনটন, দুঃখ, দুর্দশা নিরুপতির নিত্যসঙ্গী।

পাতিশ্বরী আরও জানান, তিনি নিজেও সহায়-সম্বলহীন। তবুও মেয়ের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়ান। চিকিৎসা করানোর সামর্থ না থাকায় তাই এক যুগ ধরে মেয়ে শিকলবন্দী।

মেয়ের জন্য একটি বিধবা ভাতা কার্ড পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পাতিশ্বরী।

এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ।