নদের পাড়ে মুক্ত বাতাসে বসে থাকা যুবক মাথা ঘুরে পড়েই মরে গেল

ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে মাথা ঘুরে পড়ে মারা যায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি মহরম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

মহরম (২১) নামের এক যুবক জামালপুর শহরঘেঁষা বহ্মপুত্র নদের পাড়ে মুক্তবাতাসে বসেছিল। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই মাথাঘুরে পড়েই আকস্মিক মারা যায় সে। ২৬ জুন সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড় এলাকায় নতুন বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ তার স্বজনরা নিয়ে দাফন করেছে।

ওই যুবক জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে। পেশায় একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ছিল সে। কোন অসুখের লক্ষণ ছাড়াই এভাবে জনসমক্ষে একজন মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় সবাই হতবাক হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় তার পরিবারেও নেমে আসে শোকের ছায়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামালপুর শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় দিয়ে সদ্য চালু হওয়া নতুন বাইপাস সড়কে বিকেল হলেই ভ্রমণপিয়াসী বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষের ভিড় জমে যায়। চলমান করোনায় সংক্রমণের ঝুকির মধ্যেও সকল বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিশু, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নানাবয়সী মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে বাইপাস সড়ক। দলে দলে বিভক্ত হয়ে চলে আড্ডাবাজি, ঘোরাঘুরি। তাদের মধ্যে মহরমও একজন যে কিনা তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ২৬ জুন বিকেলে বেড়াতে যায় ফৌজদারি মোড় এলাকায় নদের পাড়ে।

কিছুক্ষণ হেটে সামনেই এক ফুচকার দোকানে যায় তারা। তখন সময় বিকেল সাড়ে ৬টা বাজে। এক বন্ধু ফুচকার অর্ডার দেওয়ার সময় মহরম আলী পাশেই নদের পাড়ে বসেছিল মুক্ত বাতাসে। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই মাথাঘুরে নদের পাইলিংয়ের সিসি ব্লকের ওপর গড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তার শরীরে কোনরূপ রক্তাক্ত জখমও হয়নি। তাকে দেখতে ছুটে আসে শত শত মানুষ। পুলিশ এসে ভিড় কমিয়ে মরদেহ নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করে।

মৃত ওই যুবকের সহোদর বড় ভাই শাহ মো. বাবলা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘মহরম বিয়ে করেনি। ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ছিল সে। বিকেল ৬টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় সে। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে খবর পাই যে নদের পাড়ে বসে থাকা অবস্থায় অনেক মানুষের সামনেই আকস্মিক মাথা ঘুরে পড়ে সেখানেই মারা গেছে সে। বুঝতেছি না কিছুই। ওর কোন অসুখও ছিল না।’