শেরপুরে ১৪ মাস আগে নিখোঁজ ছাত্রের কঙ্কাল উদ্ধার

শেরপুরে মাটির নিচ থেকে ১৪ মাস আগে নিখোঁজ ছাত্রের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে মাটির নিচ থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ, ধারণা করা হচ্ছে কঙ্কালটি ১৪ মাস আগে নিখোঁজ এক ছাত্রের ।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ৫ মে সদর উপজেলার বলাইয়েরচর কান্দাপাড়ার একটি পরিত্যক্ত ভিটা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সদস্য ও র‌্যাবের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন।

পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কান্দাপাড়া গ্রামের লতিফ মিয়ার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে আতিক (১১) নিখোঁজ হয়। ওই সময় লতিফ মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ওই বছরের ৭ এপ্রিল প্রতিবেশী বাবুল মিয়া ও তার স্ত্রীকে আসামি করে আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন। এক পর্যায়ে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিসেম্বর মাসে আদালতের এক আদেশ পায় পিবিআই। সে অনুযায়ী মামলার তদন্ত শুরু করে পিবিআই।

এ ঘটনায় আসামি বাবুল মিয়া ও তার স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছিল। বর্তমানে বাবুল মিয়া ছাড়া বাকি আসামিরা জামিনে আছেন।

স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার কিছুদিন পর বাবুল মিয়ার পরিবার অন্যত্র চলে যায়। ওই অবস্থায় তাদের ভিটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ভিটা থেকে প্রতিবেশীরা বিভিন্ন সময় মাটি কেটে নিয়ে যেতো। ৫ মে আতিকের বাবা লতিফ মিয়া ওই ভিটা থেকে মাটি কাটার সময় কঙ্কালের সন্ধান পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই জামালপুর কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ উদ্দিন বলেন, উদ্ধারকৃত আলামত দেখে এসব অপহৃত ওই শিশুর বলেই মনে হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হলে অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হবে।

তিনি জানান, উদ্ধারকৃত কঙ্কাল এবং আলামত ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর সেগুলো ডিএনএ টেস্টের জন্য সিআইডি ঢাকার ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা সরকার বাবলী বলেন, অনেকদিন থেকে পিবিআই এই মামলাটি তদন্ত করছিল। এখন ভিক্টিমের কঙ্কাল উদ্ধার হলো। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।