আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় ছুটি বাড়ানো হলো।

৪ মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই সাধারণ ছুটি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৭ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। আর ৬ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার সাধারণ ছুটি থাকবে। ৮ ও ৯ মে এবং ১৫ ও ১৬ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও এ ছুটির আওতাভুক্ত থাকবে। ছুটিকালিন সময়ে জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি পরিসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানী, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর সমূহের লার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, (টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) ডাক সেবা এবং এ সংশ্লষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাহিরে থাবে।

সড়ক ও নৌ পথে সকল প্রকার পন্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন সমূহ চলাচল অব্যহত থাকবে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা রাষ্ট্রীয় মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতালের জরুরী সেবা এবং এই সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুদসহ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় জিনিস বহনকারি যানবাহন, গণমাধ্যম এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির মধ্যে পড়বে না।

প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু রাখা যাবে। সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কোর্গো ভেসেল) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

এ ছাড়া ছুটিকালীন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্তি অফিসগুলো খোলা থাকবে। মানুষের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেবে। ঈদুল ফিতরে সরকারী ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় ছুটি বাড়ানো হয় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আর পঞ্চম ধাপে ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পয়ন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।সূত্র:বাসস।