জয়ী হয়ে কর্মস্থলে ফিরলেন নকলা হাসপাতালের চিকিৎসক নোমান

নকলা হাসপাতালের সহকারী সার্জন চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল নোমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সহকারী সার্জন চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল নোমান সুস্থ হয়ে নিজ কর্মস্থলে ফিরেছেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর করোনার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসায় ২ মে দুপুরে নকলা উপজেলা হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বাড়ি নোয়াখালীতে হলেও নকলা উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হন। গত ১৫ এপ্রিল তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ১৭ এপ্রিল তাঁর শরীরে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার পর থেকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মুহাম্মদ মজিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে উপজেলা হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থেকে সুস্থ হওয়া সহকারী সার্জন চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমান সকলের উদ্দেশে বলেন, নকলা উপজেলার সর্বস্তরের নানান পেশার লোকজন আমাকে সাহস যোগিয়েছেন। আমি কখনোই মনোবল হারাই নি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সচেতনতা অবলম্বন করলে ও নিয়ম মেনে চললে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেরে যায়। বিশেষ করে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “সি” জাতীয় ফল ও শাক সবজি খাবার খেলে, কিছুক্ষণ পরপর লবণ বা ভিনেগার মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গড়া গড়া করলে, সম্ভব হলে আধা ঘন্টা পর পর গরম পানি পান করলে এবং আইসোলেশনের সকল নিয়ম কানুন মেনে চললে করোনাভাইরাস সেরে যায়; আমি এর বাস্তব প্রমাণ। তবে সামাজিকভাবে অনেকে করোনাভাইরাসকে ভয় করেন ও রোগীকে হেয় চোখে মূল্যায়ন করেন। তাই সকলের প্রতি তাঁর আহ্বান নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হন। এই ভাইরাস জনিত রোগ অন্য সকল রোগের মতোই, তবে সচেতনতার অভাব হলে সমস্যাতে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলে তিনি মনে করেন।।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মুহাম্মদ মজিবুর রহমান জানান, চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমান আইসোলেশনে থাকাবস্থায় ২৭ এপ্রিল ও ২৯ এপ্রিল দুই দফায় নমুনা পরীক্ষা করায় তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নেগেটিভ আসে। এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, তাই ২ মে দুপুরে আইসোলেশন থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমান নকলা হাসপাতালের আইসোলেশনে, চিকিৎসক. সৌরভ কুমার সরকার, মো. রনি মিয়া ও সরুফা বেগম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এবং রমজান আলী শেরপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২ মে নকলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক নোমানকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং ৩ মে মালী রমজান আলী ও গৃহবধু সরুফাকে স্বস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।