চা খোরদের গল্প, চায়ের ইতিকথা

ভারতের দার্জিলিং শহরের একটি প্রচীন চা বিক্রয়ের দোকানে লেখক।

জাহিদুর রহমান উজ্জল।।
করোনার এই ক্রান্তিকালে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে গ্রামের চা খোরদের কথা। যারা কাকডাকা ভোর থেকে রাত অবধি চায়ের স্টলে আড্ডা দিতেন। গল্পে গল্পে কাটিয়ে দিতেন সারাদিন। চায়ের স্টল মানেই একসাথে পাওয়া যাবে গ্রামের মাথামুরব্বী, নেতা, শিক্ষক, কিশোর, বেকারসহ নানা পেশার মানুষকে। মানুষের সকল সমস্যা, শালিসি বৈঠক, বিয়ে শাদীর আলাপ, ভালো মন্দ, আলোচনা, সমালোচনার, গুজব, রাজনীতি, অর্থনীতি, দেশকাল, সমাজ, সংসার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকলের আলাপের কেন্দ্রস্থল। এই করোনায় সামাজিক দূরত্বের ঠেলায় চা স্টলের আড্ডা নেই। কোলাহলের জায়গাগুলো কেমন জানি মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে। গ্রামের মোড়, চৌরাস্তার প্রান্তটি, বটতলা, গাবতলার নীচে, বাজার থেকে নদীর ঘাট সবখানে কেমন যেন নিস্তব্ধ। চাওয়ালারা আর দোকান খুলে না, কেটলির টগবক করা গরম জলের ধূঁয়া চায়ের গন্ধের সাথে মানুষের প্রেমে ভাটা পড়েছে। চা খোরদের চা পানের তেষ্টা মিটে গেছে। যে কি না ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ১০/১২ টা চা পান করতো। এখন এককাপ চাও পায় না। কি করে চলে তাদের। চায়ের সাথে নির্মল আড্ডাগুলিও বন্ধ হয়ে গেছে।

চা নাম শুনলেই বড়লোকের টেবিলে ধূঁয়া উঠা কাপের চিত্র ভেসে উঠতো। সে দিন আর নেই। চা এখন গ্রামবাংলার গণমানুষের প্রিয় পানীয়তে পরিণত হয়েছে। চা, দুটি পাতার একটি কুডির নাম। এই পানীয়তে আসক্ত হয়ে পড়েছে কোটি মানুষ। সাত সকাল থেকে গভীর রাত অবধি চলে চা পানের আড্ডা। আগে হাট বাজার শহরের অলিগলিতে চলতো এই চায়ের আসর, এখন গ্রামের মেঠো পথের ধারে ছোট্ট দোকানটিতেও চলে রাতভর চায়ের আড্ডা। দেশে কতো মানুষ চা পান করে এর হিসেব ধরলে জানা যাবে। কিন্তু বিশ্বে বছরে ৩.৬ বিলিয়ন কাপ চা পান করা হয়। এই হিসেবে বাংলাদেশের সংখ্যা কতো? প্রশ্নের সমাধান দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ এর উপস্থাপক কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। তিনি জানাচ্ছেন, এই দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪ কোটি মানুষ চা পান করেন। প্রত্যেকদিন যদি একজন মানুষ গড়ে ৫ কাপ করে চা পান করে, তাহলে ২০ কোটি কাপ চা। এর অর্থনৈতিক মূল্য প্রায় ১০০ কোটি। তিনি এ জন্য বলেছিলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে ব্যায় হবে ২৮ হাজার ৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এই টাকা এক বছরের চায়ের বাজারের সমান। মানে এক বছরের জনগণের চায়ের টাকায় একটি করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যাবে।

যাই হোক, চায়ের এই বিশাল বাজার কিন্তু ইদানিংকালের। আগে দেশে এতো চা খোর ছিলনা। দেশের বিভিন্ন শহর ছাড়া গ্রামে বাজারগুলোতে চা বিক্রির স্টল ছিলনা। থাকলেও বড় বড় বাজারে দু-একটি স্টল থাকলেও চা পানের জন্য লোক আসতো কম। চায়ের আসক্তি ছিলনা। শহরের রেলস্টেশন, কোটকাছারির প্রাঙ্গণ, সিনেমা হল কেন্দ্রিক ছিল চা স্টল।

এই চা বাংলায় যখন এলো, তখন বিদেশীরা বিনামূল্যে চা খাওয়াতো। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে রেলস্টেশনে, স্ট্রিমার, জাহাজ ঘাটে চা পানের উপকারীতার বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। বাংলা মুলুকে চা আসে ইংরেজ বেনিয়াদের হাত ধরে।

ভারতে চা উৎপাদিত হলেও তখনকার ভারতীয়দের কিন্তু চা পানের অভ্যাস ছিলনা। কথিত আছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নাকি পথে পথে বিনামূল্যের চায়ের দোকান বসিয়ে আমাদের চায়ের প্রতি আকৃষ্ট করে তুলে। আর আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক কাপ চা খেতে আমরা অর্থ ব্যয় করি বিনা দ্বিধায়।

ভারতের আসাম ছাড়াও আমাদের বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ববঙ্গ) সিলেট অঞ্চলে শুরু হয়েছিল চায়ের উৎপাদন। বাংলাদেশ আজ অন্যতম ভালো চা উৎপাদনকারী দেশের একটি। ১৯১০ সাল নাগাদ ভারতের পাশাপাশি সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়াও শুরু করে চায়ের উৎপাদন এবং রপ্তানি। এছাড়াও কেনিয়া এবং আফ্রিকার কিছু কিছু অংশ চা উৎপাদন এবং রপ্তানির সাথে জড়িত।

একটি চায়ের দোকান। ছবিটি পুরোনো।

১৮০০ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চা চাষ শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা আবাদের জন্য ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে জমি বরাদ্দ হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেখানে চা চাষ বিলম্বিত হয়। ১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা কুন্ডদের বাগান নামে পরিচিত। এই বাগানটিও প্রতিষ্ঠার পরপরই বিলুপ্ত হয়ে যায়। অতঃপর ১৮৫৪ সালে মতান্তরে ১৮৪৭ সালে সিলেট শহরের এয়ারপোর্ট রোডের কাছে মালনীছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলতঃ মালনীছড়াই বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান।

দেশ স্বাধীনের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে শুধুমাত্র দুইটি জেলায় চা আবাদ করা হতো, একটি সিলেট জেলায় যা ‘সুরমা ভ্যালি’ নামে পরিচিত ছিল, আর অপরটি চট্টগ্রাম জেলায় যা ‘হালদা ভ্যালি’ নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে বৃহত্তর সিলেটের সুরমা ভ্যালিকে ছয়টি ভ্যালিতে ভাগ করা হয়েছে যথাক্রমে: লস্করপুর ভ্যালি, বালিশিরা ভ্যালি, মনু-দলই ভ্যালি, লংলা ভ্যালি এবং নর্থ সিলেট ভ্যালি। এবং হালদা ভ্যালিকে চট্টগ্রাম ভ্যালি করা হয়েছে৷

১৯৫৭-১৯৫৮ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে তিনি প্রথম বাঙালি যিনি চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন৷ চেয়ারম্যান হওয়ার পর চা বিষয়ক গবেষণাকে তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তিনি শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন, যার সুফল এদেশের জনগন এখন ভোগ করছে। তাঁর সরাসরি নির্দেশনায় চায়ের উপর ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয় এবং এর ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত ২০টি অতি উন্নত মানের ফলন এবং গুণসম্পন্ন চা ক্লোন উদ্ভাবন করা হয়েছে যা রোপণের মাধ্যমে চা চাষীরা ব্যাপক সফলতা পাচ্ছে৷

১৯৭১ সনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চা বাগানসমূহ প্রায় বিদ্ধস্ত হয়ে যায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই শিল্পকে টেকসই খাতের উপর দাঁড় করানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি চা বাগান মালিকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহ করেন। চা কারখানাগুলোর পূনর্বাসনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া থেকে ত্রিশ লক্ষ ভারতীয় মুদ্রা মূল্যের ঋণ নিয়ে চা শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি করেন। বাগান মালিকদের ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা সংরক্ষণের অনুমতি দেন। শ্রমিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার দেন৷

বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন তৎপরতার কারণে চা শিল্পের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ১৯৭০ সনে চা উৎপাদনের পরিসংখ্যান ছিল ৩১.৩৮ মিলিয়ন কেজি। ২০১৫ সালে এই উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৬৭.৩৮ মিলিয়ন কেজি। ২০১৬ সালের প্রথম ভাগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। এর ফলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা উৎপাদনকারী; সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালে ৮৫.০৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়৷ এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে চা আমদানির প্রয়োজন হবে না বরং রপ্তানির ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে৷

১৯৭০ সনে বাংলাদেশে চা বাগানের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫০টি, বর্তমানে চা বাগানের সংখ্যা ১৬২টি। এছাড়াও ২০০২ সাল থেকে চা বোর্ডের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে চা আবাদ শুরু করেছে এবং ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে। পঞ্চগড়ে প্রায় ১৭০০ হেক্টর এবং বান্দরবানে ১২২ হেক্টর জমি চা আবাদের আওতায় এসেছে। নতুন প্রকল্প গ্রহণের ফলে আরও ৯০০ হেক্টর জমি ক্ষুদ্রায়তন চা চাষের আওতায় আসবে। এছাড়া বর্তমান সরকার চা শিল্পের উন্নয়নে ‘উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প’ শিরোনামে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যা আগামীতে চা দেশের শিল্পকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসিন হতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে৷

তবে চায়ের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে, আমাদের বাড়ি মানে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর তালুকদার বাড়িতে চায়ের প্রচলন ছিল ১৯ শতক থেকেই। মানে ইংরেজ আমলেই। প্রপিতামহ হাজী ফাজেল মাহমুদ তালুকদার ব্যবসার জন্য কলকাতা যেতেন এবং তালুকদারী ক্রয় করার পর জমিদার, নায়েব, শিক্ষানুরাগী, কবি সাহিত্যিক তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। চা ও হুক্কায় তাঁদেরকে সমাদর করা হতো। তাঁর সুসন্তান ফারান উল্লাহ তালুকদার, ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক তাঁর বাড়িতেও প্রচুর সম্মানিত লোকজন উপস্থিত হতেন। তাদেরকে বিভিন্ন খাদ্যের সাথে চা পরিবেশনের রেওয়াজ ছিলো। ওই পরিবারেরর অরেক কীর্তিমান ব্যাক্তি আমার পিতামহ রফাত উদ্দিন তালুকদার ১৯২৯ সালে বালিজুড়ী জোনাইল ইউনিয়ন বোর্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট (চেয়ারম্যান) নির্বাচিত হোন। তাঁর বাড়িতে ময়মনসিংহের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. গ্রাহামসহ অনেক নামী দামি লোকজন যাতায়াত করতেন তাদেরকে অনেক আপ্যায়নের মধ্যে চা ছিল অন্যতম। কলকাতা থেকে চা পরিবেশনে র তৈজসপত্র নিয়ে আসা হয়েছিলো। তার কিছু এখনো সংরক্ষিত আছে।

আমার দাদার ছোট ভাই এ কে এম বফাত উদ্দিন তালুকদার ছিলেন মুসলিমলীগের তখোড় নেতা। এবং দুই বারের এমএনএ। ভারতবর্ষে যে কয়েকজন মসলিম বাঙালি নেতা ছিল তার মধ্যে তিনি ছিলেন হাতে গুনা একজন। তার বাড়িতে প্রচুর সরকারি কর্মকর্তা ও নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আসতেন; তাদের আপ্যায়নে করাচী ও রাউল্ডপিন্ডি থেকে চায়ের তৈজসপত্রে অন্যান্য বাহারী খাদ্যের সাথে চা পরিবেশন করা হতো।

তার ধরাবাহিকতায় আমাদের পূর্বপুরুষ বড়ভাই দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব করিমুজ্জামান তালুকদার, জেঠা অনারী ম্যাজিস্ট্রেট ও এম.এন.এ এ.এফ.এম আলতাফুর রহমান তালুকদার, আমার পিতা রফিক উদ্দিন তালুকদার তাঁদের চা প্রীতি দেখেছি। দেখেছি চায়ের আড্ডা। এখনো রয়ে গেছে সেই প্রচলন।

তবে আমি চায়ে দারুণ আসক্ত। যে দেশে যাই সে দেশের স্বাদ নেই চায়ের। সম্প্রতি ভারতের চায়ের রাজ্য দার্জিলিংয়ে গিয়েছিলাম। জলপাইগুড়িতেও। ওইসব চা বাগানে ঘুরে আমার চায়ের প্রতি আরো ভালেবাসা বেড়ে গেছে। কতো রকম চা। দেখে অবাক। তার সাথে চায়ের তৈজসপত্র। কি দারুণ। ঘুরে ঘুরে অনেক ব্যান্ডের চা খেলাম। চা পাতি কিনে নিয়ে এলাম। প্রায় বছর খানিক আগে চীন সফরে গিয়ে চায়ের রাজ্য দেখেছি। দু’চোখ ভরে চা বাগান দেখিছি। নানা কায়দায় বানানো চা খেয়েছি। তৃপ্তি করে চায়ের স্বাদ নিয়েছি। কি দারুণ চা। কতো স্বাদ কি মুগ্ধ করা গন্ধ।

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে বাসায় বসে বসে গরম এককাপ ধূঁয়া উঠা চায়ে চুমুক দিতেই চা আবিস্কারের গল্পটি মনে পড়লো খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩৭ সালের কথা, চীনা সম্রাট শেন নাং তাঁর ভৃত্য পরিবেষ্টিত হয়ে জঙ্গলে গেছেন আনন্দ ভ্রমণে। ভৃত্যরা সম্রাটের জন্য খাদ্য প্রস্তুতে ব্যস্ত। হঠাৎ অজান্তে এক নাম না জানা অচেনা পাতা ফুটন্ত পানির মধ্যে পড়ে গেলো। সম্রাটকে যখন সেই পানীয় পরিবেশন করা হলো, সম্রাট তার স্বাদ পেয়ে তো মহা খুশী। সঙ্গে সঙ্গে আদেশ দিলেন অধিকতর তদন্ত করার জন্য যে, এই পাতা কী? কোথায় মিলবে এবং আর কিভাবে এর ব্যবহার করা যাবে? জন্ম হলো এক নতুন পানীয়র। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চা এর ওষুধী গুণাবলীর স্বীকৃতি পেলো যা পরবর্তীতে চীনা পন্ডিত কর্তৃক অমরত্বের স্পর্শমনি হিসাবে বর্ণিত হয়েছিল।