মেলান্দহে এক যুবকের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ঢাকাফেরত প্লাস্টিক কারখানার কর্মচারী এক যুবকের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৫ এপ্রিল রাতে ময়মনসিংহের করোনা পরীক্ষাগার থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্থানীয় প্রশাসন উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বীর ঘোষেরপাড়ার পুরো গ্রামটাই লকডাউন ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জেলায় ১৬ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এই প্রথম একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বীর ঘোষেরপাড়া গ্রামের ওই ব্যক্তি ঢাকায় বনানীর একটি প্লাস্টিক কারখানার কর্মচারী। তার বয়স ২৬ বছর। তিনি অবিবাহিত। তিনি গত ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বীর ঘোষেরপাড়ায় যান। বাড়িতে থাকা অবস্থায় তিনি করোনার উপসর্গ জ্বর, গলাব্যথা ও কাঁশিতে আক্রান্ত হন। বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও এলাকায় তিনি অবাধে ঘোরাফেরা এবং লোকজনের সাথে মেলামেশা করেন। তাকে নিয়ে এলাকায় সন্দেহ দেখা দিলে ওই পাড়ায় করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৪ এপ্রিল বিকেল তিনটার দিকে তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহে করোনা পরীক্ষাগারে পাঠায়। নমুনা পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ার বিষয়টি সেখান থেকে ফোনে ৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে জেলার সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৫ এপ্রিল রাত দশটায় জামালপুর থেকে সিভিল সার্জন চিকিৎসক আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান ও মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামিম আল ইয়ামীন, ডেপুটি সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম শফিকুজ্জামান, মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. ফজলুল হক, পুলিশ ফোর্স, একটি মেডিক্যাল টিম ও একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ করোনাআক্রান্ত ওই রোগীকে নিয়ে আসার জন্য তার বাড়িতে রওনা হয়েছেন।

জামালপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, মেলান্দহের ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে বলে ময়মনসিংহ করোনা পরীক্ষাগার থেকে ৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে ফোনে আমাদের জানানো হয়েছে। এই রোগীকে রাতেই তার বাড়ি থেকে ময়মনসিংহে অথবা ঢাকায় কুর্মিটোলায় করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে আমরা ঢাকায় আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। এমনও হতে পারে যে ওই রোগীর এলাকা বীর ঘোষেরপাড়ার পুরোটাই লকডাউন করা হতে পারে। ওই গ্রামে পৌঁছে গ্রামটি লকডাউনসহ জনগণকে সচেতন করার জন্য সেখানে যা যা করার দরকার করা হবে।