জামালপুরে সিএনজি অটোটেম্পোর সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক কর্মহীন, খাদ্য সহায়তা চায় তারা

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাস্তায় চলেনা কোনো মোটরযান। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সকল প্রকার মোটর শ্রমিকরা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি আদেশে সব ধরনের মোটরযান চলাচল বন্ধ থাকায় জামালপুর জেলা অটোরিকশা, অটোটেম্পো ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং ঢাকা-৩৫১৭) আওতাধীন তিন হাজার ৫০০ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জরুরি ভিত্তিতে তাদের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা দিয়ে জেলা প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি আদেশে গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশের ন্যায় জামালপুর জেলার গণপরিবহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। এতে করে জামালপুর জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলার শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মহীন পরিবারগুলোর মাঝে চাল-ডালসহ করোনা থেকে সুরক্ষার অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

কিন্তু জামালপুর জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের সিএনজি, অটোরিকশা ও অটোটেম্পোর চালক ও শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণমানুষের যাতায়াতের বেশ ভূমিকা রাখলেও দেশে চলমান আপদকালে কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে তারাও বিপাকে পড়েছেন।

গত আটদিনেও স্থানীয় প্রশাসন তাদের জন্য খাদ্য সহায়তার হাত না বাড়ানোয় তাদের প্রতিটি পরিবারে খাদ্যের জন্য হাহাকার বিরাজ করছে। দেশের সাধারণ ছুটি আরো দীর্ঘ হওয়ায় এবং সবকিছু বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের পরিবারে খাদ্য সঙ্কট আরো তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খাদ্য সঙ্কটের কারণে ইতিমধ্যে অনেক পরিবারে দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

সংগঠনটির জেলা শাখার সড়ক বিষয়ক সম্পাদক মো. আসলাম খান এ প্রতিবেদককে জানান, সংগঠনটির একাধিক শ্রমিক নেতা জানান, একমুঠো ডাল-ভাত খেয়ে পরিবারপরিজনদের বাঁচিয়ে রাখতে গত ২৯ মার্চ জেলা শহরে অবস্থানরত কর্মহীন শ্রমিকের তালিকা দেওয়া হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। কিন্তু গত চারদিনেও সেখান থেকে কোনো খাদ্য সহায়তার আশ্বাস না পেয়ে সেই তালিকা সেখান থেকে সংগ্রহ করেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি আজাদ খান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন মুকুল ও দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফসহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ ১ এপ্রিল সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তালিকা জমা দিয়ে জরুরিভিত্তিতে সংগঠনটির শ্রমিকদের জন্য খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।