শেরপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড

শেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো চারজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে জেলায় মোট ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হলো। এদের মধ্যে ইটালি ফেরত তিনজন, চীনের একজন, সিঙ্গাপুরের একজন, ভারতের পাঁচজন, মালয়েশিয়ার একজন ও সৌদি আরবের দুইজন। তারা সবাই প্রবাস ফেরত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন চিকিৎসক এ কে এম আনোয়ারুল রউফ।

সিভিল সার্জন জানান, করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে যদি কারো মধ্যে সর্দি, কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পাতলা পায়খানাসহ শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দেয় তবে টেলিফোনে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও যদি করোনার কোন সংক্রামণ জীবানু পাওয়া যায়, তাহলে তা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।

সিভিল সার্জন চিকিৎসক এ কে এম আনোয়ারুল রউফ দাবি করেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য যে ধরনের ইকুইপমেন্ট প্রয়োজন তার সবই তার হাতে রয়েছে। অন্যদিকে যারা সেবা দিবে তাদের পারসোনাল প্রোটাকশনের জন্যও সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫০টি শয্যা প্রস্তুতসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড, ঝিনাইগাতী উপজেলা হাসপাতালে ২০ শয্যা, শ্রীবরদী হাসপাতালে ২০ শয্যা, নালিতাবাড়ীর রাজনগর মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ শয্যা আর নকলার উরফা হাসপাতালে ৫০ শয্যা রয়েছে।