মির্জা আজমের প্রচেষ্টায় মাদারগঞ্জে যমুনার তীর রক্ষায় ৫৮৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মোস্তফা বাবুল
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার যমুনা নদীর পূর্ব তীরবর্তী এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ উপজেলাবাসীর প্রাণপ্রিয় জননেতা কর্মবীর মির্জা আজম এলাকাবাসীর সেই দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। অবশেষে তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন। ১০ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় পাঁচ শত ৮৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১০ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অনুমোদনের পাশাপাশি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলাবাসীর জন্যও সুখবর রয়েছে। সভায় অনুমোদন করা হয়েছে ‘জামালপুর জেলাধীন মাদারগঞ্জ উপজেলাধীন বালিজুড়ি ও পাকেরদহ এলাকা এবং বগুড়া জেলাধীন সারিয়াকান্দি উপজেলাধীন জামথল এলাকার যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে তীর রক্ষা’ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে পাঁচ শত ৮৪ কোটি টাকা।

জামালপুরের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ আসনের টানা ছয়বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মির্জা আজম। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। উন্নয়ন কাজের জন্য ইতোমধ্যে তাঁকে কর্মবীর খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্ররে ফলে সমৃদ্ধ জামালপুর গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে জেলা পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। অব্যাহত উন্নয়নের ফলে জামালপুর জেলার চেহারাও বদলে যাচ্ছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান মো. ওবাদুর রহমান বেলাল জানান, যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ, বাড়িজুড়ি এবং জোড়খালিসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি এবং জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। উপরন্তু বন্যায় গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি টাকার ফসলহানি ঘটছে। এছাড়াও মাদারগঞ্জ উপজেলায় কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। নির্মাণ করা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সেগুলো বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের হুমকির সম্মুখীন। তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজম মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ উপজেলাটিকে সারাদেশের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যেকোন মূল্যে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধ করা হবে। তার জন্য যমুনা নদীর পূর্ব তীর রক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নদী ভাঙ্গন রোধ কল্পে একটি ডিবিডি প্রস্তুত করে পাঠায়। প্রকল্পটি ১০ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপিত এবং অনুমোদিত হয়।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ বলেন, জামালপুরের মাদারগঞ্জ এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ৬ দশমিক ২৫ কিলোটিমার যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বগুড়ার সারিয়াকান্দির অংশটি মূলত যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে এবং মাদারগঞ্জের অংশের সঙ্গে সংযুক্ত।

তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় জুট টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট, পাট গবেষণা কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ যমুনা নদীর সন্নিকটে অবস্থিত। উপজেলা পরিষদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নদী ভাঙ্গনের হুমকির মধ্যে রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুধু নদী ভাঙ্গন রোধ হবে না উপরন্তু বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন পেয়েছে সংসদ সদস্য মির্জা আজমের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। তাঁর নির্দেশনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পের ডিবিডি প্রস্তুত করে এবং একনেকের সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠায়।

একনেকের সভায় নদীর তীর রক্ষা প্রকল্প অনুমোদিত হওয়ার সংবাদে মাদারগঞ্জ উপজেলাবাসী খুবই আনন্দিত। অনেকে উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রিয় নেতা মির্জা আজমের নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি উদ্যোগ না নিলে এতো বড় একটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন লাভ করতো কিনা সন্দেহ। আমরা মাদারগঞ্জবাসী তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ এবং চিরঋণী। অনেকে বলেন, আমরা দোয়া করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে হায়াতে তৈয়বা এবং জনকল্যাণে ও উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখার তৌফিক দান করুন।