নাকুগাঁও স্থলবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা

ইনফারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেলায় একটি বিশেষ ‘আইসোলেশন’ ইউনিট চালু করা হয়েছে। স্থলবন্দরের একটি রুমে বসানো হয়েছে তিন সদস্যের দুটি মেডিকেল টিম। তারা ইনফারেড থার্মোমিটার দিয়ে আগত যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ১০ মার্চ দুপুরে এ খবর লেখা পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি।

সূত্র জানায়, নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীদের করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা। যদি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায় তাহলে তাকে জেলা হাসাপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে এবং পরবর্তীতে ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে জনসাধারণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

নাকুগাঁও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এ সম্পর্কে শেরপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক এ কে এম আনোয়ার রউফ বলেন, নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে যেসব পেসেঞ্জার (যাত্রী) প্রবেশ করছে তাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি পরীক্ষায় কারো জ্বর বা করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন সিমটম পাওয়া যায় তাহলে আইসোলেশনের জন্য আমাদের মেডিকেল টিম আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমাদের এখানে স্ক্যানার কোন মেশিন নেই তবে এখানে ইনফারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে আমরা টেমপারেচার নির্ণয় করি।