এসএসসি বাংলা প্রথমপত্রের ৫০টি উত্তরপত্র জামালপুর থানায়!

জামালপুরে সিএনজি অটোরিকশায় ফেলে রেখে যাওয়া এসএসসি বাংলা প্রথমপত্রের ৫০টি উত্তরপত্র। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন চলতি এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার ৫০টি উত্তরপত্রের একটি বান্ডেল পাওয়া গেছে। ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে জামালপুর শহরের জয়নাল আবেদীন নামের একজন সিএনজি অটোরিকশাচালক এই বান্ডেলটি পেয়েছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে এসএসসি উত্তরপত্রগুলো জামালপুর জেলা প্রশাসকের পরামর্শে তার এক সহকর্মী সিএনজিচালক আবু সাঈদ বাচ্চু জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে উত্তরপত্রগুলো থানায় জমা দিয়েছেন।

সিএনজিচালক আবু সাঈদ বাচ্চু বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর জামালপুর শহরের ভোকেশনাল মোড়ে সিএনজিচালক জয়নাল আবেদীনের সিএনজিতে ময়মনসিংহ থেকে আসা একজন পুরুষ যাত্রী চলতি এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের ৫০টি উত্তরপত্রের একটি বান্ডেল ভুলে ফেলে রেখে যান। ৫০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় পাস করা নিয়ে সমস্যার কথা ভেবে তিনি খাতাগুলো ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে জামালপুর সদর থানায় জমা দিতে যান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান বিষয়টি জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। পরে সিএনজিচালক স্থানীয় একজন সাংবাদিকের সহায়তায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা হাকিম তৌহিদ-বিন-হাসান ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামালপুর সার্কিট হাউজে উত্তরপত্রগুলো দেখে সিএনজিচালক আবু সাঈদ বাচ্চুকে জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে খাতাগুলো থানায় জমা দিতে বলেন। পরে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে উত্তরপত্রগুলো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দেন সিএনজিচালক আবু সাঈদ বাচ্চু।

সিএনজিচালক ও পুলিশের ধারণা ওই যাত্রী যেহেতু ময়মনসিংহ থেকে জামালপুরে এসেছেন, তিনি হয়তো জামালপুর জেলার কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারেন।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘একটি সাধারণ ডায়েরি করে এসএসসির বাংলা প্রথমপত্রের ৫০টি উত্তরপত্রের বান্ডেলটি থানা হেফাজতে রেখেছি। উত্তরপত্রগুলো যদি হারিয়েই যেত তাহলে ৫০ জন পরীক্ষার্থীর খুবই ক্ষতি হতো। সিএনজিচালককে ধন্যবাদ যে তিনি গুরুত্ব বুঝেই থানায় ছুটে এসেছেন।’