দেওয়ানগঞ্জে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস, ১১ জেলের জরিমানা

দেওয়ানগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পুড়িয়ে ফেলা হয় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল। ছবি : বিল্লাল হোসেন মন্ডল

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকারের অভিযোগে ১১ জন জেলেকে আটক করে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২১ অক্টোবর সকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম তাহমিনা আক্তার এ অভিযান চালান।

জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েকদিন ধরে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় জেলেরা যমুনা নদীতে কারেন্ট জাল ফেলে মা ইলিশ শিকার করে আসছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে দেওয়ানগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ-থানার পুলিশ ফোর্স নিয়ে ২১ অক্টোবর সকালে অভিযান চালান। এ সময় যমুনা নদীর হরিণধরা ও টিনেরচর এলাকা থেকে ১১ জন জেলেকে আটক করে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও চার কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। আটক জেলেরা হলেন সজল, মনু মিয়া, হাবিল উদ্দিন, নিশান, মনজুরুল ইসলাম, লাল মিয়া, দুলাল উদ্দিন, সুজা মিয়া, ফজলুল হক, চাঁন মিয়া ও সোনা মিয়া। তাদের বাড়ি যমুনা নদীর চরহলকা হাবড়াবাড়ী ও টিনেরচর গ্রামে।

পরে নির্বাহী হাকিম তাহমিনা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক জেলেদের কাছ থেকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং জব্দ করা কারেন্ট জাল আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়। একই সাথে জব্দ করা চার কেজি ইলিশ স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান, বাহাদুরাবাদ নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ও চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান এ অভিযানে অংশ নেন।

বাহাদুরাবাদ নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মতর্কা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, যমুনা নদীতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রতি রাতেই যমুনা নদীতে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।