যমুনার ভাঙনে চিকাজানী ইউনিয়নের খোলাবাড়ী বাজার এলাকা লণ্ডভণ্ড

যমুনার তীব্র ভাঙনে লন্ডভন্ড হচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি ইউনিয়নের খোলাবাড়ী বাজার এলাকা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরসা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় শত শত পরিবার।

জানা গেছে, ১৭ জুলাই ভয়াবহ বন্যায় চিকাজানী ইউনিয়নের খোলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, খোলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোলাবাড়ী ইদ্রিসিয়া দারুল উলুম মাদরাসাসহ এক নম্বর ওয়ার্ডের এক হাজার ৫০টি পরিবার, দুই নম্বর ওয়ার্ডের ৭০০, তিন নম্বর ওয়ার্ডের ৫০০, চার নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ পরিবার এবং আট নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শগ্রাম ও গুচ্ছগ্রাম যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন নদীভাঙনের শিকার হাজার হাজার মানুষেরা।

অপরদিকে খোলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরসা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় খোলাবাড়ী বাজারের খোলা শেডঘরে চলছে পাঠদান। খোলাবাড়ী বাজারের আংশিক যমুনাগর্ভে বিলীন হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরাও। রাক্ষসী যমুনার ভাঙন রোধ না করা হলে খোলাবাড়ী বাজারে বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌ-থানার প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ভবনটি অচিরেই যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।

চিকাজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ভয়াবহ বন্যায় পাল্টে গেছে চিকাজানী ইউনিয়নের মানচিত্র। বিলীন হয়ে গেছে হাজার হাজার মানুষের বাড়িভিটা ও ফসলি জমি। এ ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী খোলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা বিলীন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খুব ক্ষতি হচ্ছে। জরুরিভাবে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা দরকার। স্থানীয় মসজিদঘরটিও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় মুসল্লিদের জামাতে নামাজ পড়তেও সমস্যা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। নদী ভাঙন রোধ করার জন্য ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, খোলাবাড়ী এলাকার নদীগর্ভে বিলীন তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জায়গা নির্ধারনের কাজ চলছে। এছাড়া ভাঙন রোধে জরুরি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।