ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

জামালপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জামালপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জাহাঙ্গীর সেলিম:
জামালপুরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে বিভিন্ন মাঝারি ও বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে। কাজের গতি আরো বেগবান করার লক্ষ্যে জামালপুর জেলায় উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা ৩১ আগস্ট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম, সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল, সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শফিকুল ইসলাম।

সভায় উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত সকল প্রকৌশলী বিভাগ, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভায় তালিকা ধরে ধরে প্রতিটি প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিভিন্ন রাস্তা প্রশস্তকরণ, জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের ধীর গতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মূখ্য আলোচক ও সংসদ সদস্যগণ।

প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের ঈর্শনীয় উন্নয়ন অগ্রগতির ওপর মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন। তার সূত্র ধরে তিনি বলেন, আমি, তুমি, সে আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নে সবাই মিলে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গোটা জেলা জুড়ে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করতে হবে। আবুল কালাম আজাদ ৩১ আগস্ট ভোর ৬টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পৌরসভার মেয়রকে নিয়ে শহর পর্যবেক্ষণ করেন। রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুরাবস্থা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন। মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জামালপুরকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করলেও ৩০ আগস্ট আমি নিজের চোখে অনেক ভিক্ষুক দেখেছি।

সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেন, উন্নয়ন কাজে কিছুটা সমন্বয়ের অভাব আছে। আমরা প্রতিমাসে না হলেও তিন মাস পর পর প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদসহ সকল সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে এ ধরনের পর্যালোচনা সভা আয়োজন করতে পারলে কাজের গুণ ও মানগত এবং দুর্নীতিমুক্তভাবে প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হবে। তিনি পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলরদের মাঝে সমন্বয়হীনতা কথা উল্লেখ করে বলেন, কাউন্সিলর গণ প্রতিদিন তিনশ শ্রমিকের মাস্টার রোল জমা দিলেও বাস্তবে ৩০ জন শ্রমিকও কাজ করে না। মেয়র সাহেবকে এ ব্যাপারে আরো বেশি তদারকি করার পরামর্শ দেন।

আপলোডকারীর তথ্য

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

জামালপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯
জামালপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জাহাঙ্গীর সেলিম:
জামালপুরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে বিভিন্ন মাঝারি ও বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে। কাজের গতি আরো বেগবান করার লক্ষ্যে জামালপুর জেলায় উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা ৩১ আগস্ট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম, সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল, সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শফিকুল ইসলাম।

সভায় উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত সকল প্রকৌশলী বিভাগ, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভায় তালিকা ধরে ধরে প্রতিটি প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিভিন্ন রাস্তা প্রশস্তকরণ, জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের ধীর গতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মূখ্য আলোচক ও সংসদ সদস্যগণ।

প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের ঈর্শনীয় উন্নয়ন অগ্রগতির ওপর মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন। তার সূত্র ধরে তিনি বলেন, আমি, তুমি, সে আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নে সবাই মিলে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গোটা জেলা জুড়ে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করতে হবে। আবুল কালাম আজাদ ৩১ আগস্ট ভোর ৬টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পৌরসভার মেয়রকে নিয়ে শহর পর্যবেক্ষণ করেন। রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুরাবস্থা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন। মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জামালপুরকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করলেও ৩০ আগস্ট আমি নিজের চোখে অনেক ভিক্ষুক দেখেছি।

সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেন, উন্নয়ন কাজে কিছুটা সমন্বয়ের অভাব আছে। আমরা প্রতিমাসে না হলেও তিন মাস পর পর প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদসহ সকল সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে এ ধরনের পর্যালোচনা সভা আয়োজন করতে পারলে কাজের গুণ ও মানগত এবং দুর্নীতিমুক্তভাবে প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হবে। তিনি পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলরদের মাঝে সমন্বয়হীনতা কথা উল্লেখ করে বলেন, কাউন্সিলর গণ প্রতিদিন তিনশ শ্রমিকের মাস্টার রোল জমা দিলেও বাস্তবে ৩০ জন শ্রমিকও কাজ করে না। মেয়র সাহেবকে এ ব্যাপারে আরো বেশি তদারকি করার পরামর্শ দেন।