সরিষাবাড়ীতে খাদ্য গুদাম পানিতে সয়লাব, খাদ্য শস্যের গুণাগুণ নষ্টের আশঙ্কা

সামান্য বৃষ্টিতে প্লাবিত সরিষাবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামের মাঠ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় কয়েকদিনের বর্ষণে উপজেলা খাদ্য গুদামের মাঠ পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। এতে খাদ্য শস্য লোড-আনলোডসহ গুদামের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ড্রেন বা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

১৪ জুলাই দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার ধানাটা গ্রামের প্রধান সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত উপজেলা খাদ্য গুদামের পুরো মাঠ বৃষ্টির পানিতে সয়লাব। গুদামের কোনো কোনো ভবনের গেট ও দরজা পর্যন্ত পানি ছুঁইছুঁই। খাদ্য শস্য লোড-আনলোডের জন্য ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহণ গুদামের মাঠে ঢুকানো গেলেও সে সব ঘুরিয়ে বের করতে সমস্যা হচ্ছে। প্রায় হাটু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে শ্রমিকদের কাজ করতে হচ্ছে। কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি জমে গুদামের পরিবেশ নোংরা ও স্যাঁতসেতে হয়ে মশা, কেঁচোসহ রোগ-জীবানু জন্ম নেওয়ায় বিনষ্ট হচ্ছে খাদ্যের গুণাগুণ।

খাদ্য গুদামের শ্রমিক সর্দার শ্রী পুলিশ লাল জানান, ‘স্যাঁতসেতে পরিবেশে পানিতে চলাচল করে কাজ করতে হচ্ছে। এতে হাত-পায়ে চুলকানিসহ চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে।’

খাদ্য গুদাম সূত্র জানায়, ১৯৬২ সালে এক একর ৭৩ শতক জমিতে উপজেলা খাদ্য গুদামটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গুদামের ধারণক্ষমতা তিন হাজার মে. টন খাদ্য শস্য। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এ গুদামে সরকারি বরাদ্দকৃত ধান, চাল ও গম ক্রয়, মজুদ ও সরবরাহ হয়ে আসছে।

গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) বাবুল মিয়া বলেন, ‘খাদ্য গুদামের নিজস্ব ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এছাড়া প্রধান সড়কেও পৌরসভার ড্রেন না থাকায় পানি নিষ্কাশন হয় না। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই গুদামের মাঠ পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়।’ তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরির জন্য কিছুদিনের মধ্যেই খাদ্য অধিদপ্তর উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে তিনি জানান।