জামালপুরে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত

জামালপুরে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে শহরে শোভাযাত্রা বের হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

‘মর্যাদা ও অধিকার, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতি সেবার অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যের আলোকে জামালপুওে ২৮ মে পালিত হয়েছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণের পর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নজরুল ইসলাম সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায়।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক প্রফুল্ল কুমার সাহা, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক কেএম শফিকুজ্জামান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান, টিবি ক্লিনিকের চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক স্বাগত সাহা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি চিকিৎসক বুশরা আমিনা, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক খলিলুর রহমান, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিনিধি রুমা ইয়াসমিন, নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সুমি আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক উত্তম কুমার সরকার এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

জামালপুরে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে উন্নয়ন সংঘ ও ইউনিসেফ। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক, ওয়ার্ল্ড ভিশন, এফপিএবি, বন্ধু সোসাল ওয়েফেয়ার, মেরী ক্লিনিকসহ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৭২ জন। ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনতে সরকারি, বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। সভা সূত্র জানায়, মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ প্রচুর রক্তক্ষরণ এবং একলামশিয়া। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব না হওয়ার কারণে মৃত্যু ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে না পারলে মাতৃমৃত্যু হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।