জামালপুরে ভোক্তাকে ঠকানোয় আরএফএলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

গণশুনানি পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

একজন ক্রেতার কাছে কোম্পানির ধার্য্যকৃত মূল্যের চাইতে বেশি মূল্যে ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রির দায়ে জামালপুর শহরের সকাল বাজার এলাকার আরএফএল বিক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আল আমীনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়ের জেলা কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান তার কার্যালয়ে ৬ মে সকালে এক গণশুনানি শেষে এ রায় দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকার তানজিনা আক্তার লিমা নামের একজন ক্রেতা ৪ মে শহরের সকাল বাজার এলাকার আরএফএল বিক্রয় কেন্দ্র থেকে এক হাজার ২৬৭ টাকার আটটি বিভিন্ন প্রকারের ক্রোকারিজ পণ্য কিনেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, চারটি পণ্যের দাম আরএফএল কোম্পানির ধার্য্যকৃত মূল্যের চাইতে বেশি মূল্যে তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান ৬ মে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার কক্ষে গণশুনানির আয়োজন করেন। গণশুনানিতে আরএফএল বিক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আল আমীন পণ্যের মূল্য তাদের সফটওয়্যারে হালনাগাদ না করার কারণ দেখিয়ে বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

গণশুনানি শেষে সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় বর্ণিত ধার্য্যকৃত মূল্যের চাইতে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করার অপরাধে আরএফএল বিক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আল আমীনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ভবিষ্যতে আর কখনও এমন কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।

সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘কোনো কোম্পানি তাদের ধার্য্যকৃত মূল্যের চাইতে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু গণশুনানিতে তারা অপরাধ স্বীকার করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই আইনের বিধান অনুযায়ী আদায় করা জরিমানার টাকা থেকে অভিযোগকারী ফেরৎ পাবেন শতকরা ২৫ ভাগ টাকা। তাই অভিযোগকারী ক্রেতা তানজিনা আক্তার লিমাকে তার প্রাপ্য টাকা ফেরৎ দিয়ে বাকি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে।